অ্যাপল ওয়াচের অজানা ৭

অ্যাপল ভক্তদের ‘লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা’র অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত অ্যাপল ওয়াচের সরবরাহ। স্মার্টওয়াচটির নানা দিক নিয়ে শুরু থেকেই প্রযুক্তিপণ্য ভক্তদের মধ্যে ছিল নানা কৌতুহল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং তার আগে ও পরে বিভিন্ন সূত্র থেকে ডিভাইসটি সম্পর্কে মিলেছে নানা তথ্য। আর অ্যাপল ওয়াচ হাতে আসার পর একে একে উন্মোচিত হচ্ছে ডিভাইসটি এমন সব তথ্য যা জানা ছিল না ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞদের।

আব্দুল্লাহ জায়েদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 12:03 PM
Updated : 26 April 2015, 12:03 PM

১. অন্য ডিভাইসও চার্জ হবে ম্যাগসেইফ চার্জারে: চৌম্বক শক্তি বদৌলতে অ্যাপল ওয়াচের ম্যাগসেইফ চার্জার ডিভাইসটির নিজের অংশের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে এর ব্যাটারি চার্জ করে। আর ওই একই ম্যাগসেইফ চার্জার দিয়ে মোটো ৩৬০ স্মার্টওয়াচ চার্জ করতে সক্ষম হয়েছেন অ্যাপল পণ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাপল ইনসাইডারের পাঠক অ্যালবার্ট লি।

তাত্বিক দিক থেকে বিবেচনা করলে ‘কিউআই’ ভিত্তিক ওয়্যারলেস চার্জারের সঙ্গে ম্যাগসেইফ চার্জারের সঠিকভাবে কাজ করার কথা। লির দাবি সত্যতা নিশ্চিত করতে ম্যাগসেইফ চার্জার দিয়ে মোটা ৩৬০ চার্জ করতে সফল হয়েছে ম্যাশএবলও। তবে ম্যাগসেইফ চার্জার দিয়ে ভিন্ন ডিভাইস চার্জ করতে সাফল্য মিললেও ভিন্ন ব্র্যান্ডের দুটি ‘কিউআই’ ওয়্যারলেস চার্জার দিয়ে অ্যাপল ওয়াচ চার্জ করার করে ব্যার্থ হয়েছে সাইটটি।

২. পানির নিচেও অ্যাপল ওয়াচের সহ্যক্ষমতা কম নয়: অ্যাপল ওয়াচ ‘ওয়াটার প্রুফ’ নয়, বরং ‘ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট’। পানির নিচে এর সহ্যক্ষমতা যাচাই করে দেখেছে স্মার্টফোনবিষয়ক সাইট ফোনফক্স।

সাইটটির ‘অ্যাপল ওয়াচ ওয়াটার প্রুফ টেস্ট’ শিরোনামের ভিডিও অনুযায়ী, সাবান আর শ্যাম্পু মাখিয়ে বালতির পানিতে চুবিয়ে রাখার পরও অক্ষত ছিল স্মার্টওয়াচটি। পুলে ১৫ মিনিট সাঁতার কাটার পরও কার্যক্ষম ছিল অ্যাপল ওয়াচ। পানির নিচে টাচস্ক্রিন কাজ না করলেও কার্যক্ষম ছিল এর ‘ডিজিটাল ক্রাউন’।

৩. ‘সিক্রেট ব্লাড অক্সিজেন মনিটর’: হাতে পাওয়া মাত্র অ্যাপল ওয়াচের ‘ব্যবচ্ছেদ’ করে ছেড়েছেন ‘আইফিক্সইট’ কর্মীরা। সাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যতটা বলা হয়েছে তার থেকেও বেশি শক্তিশালী অ্যাপল ওয়াচের হার্ট-রেট মনিটর। রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও মাপতে পারে এই মনিটর।

তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে, বিজ্ঞাপনে এই ফিচারটি উল্লেখ করেনি অ্যাপল। সরবরাহকৃত ডিভাইসগুলোতেও বন্ধ রাখা হয়েছে ফিচারটি।

৪. পাল্টানো যাবে না ব্যান্ড: নাইনটুফাইভ ম্যাকের প্র্রতিবেদন অনুযায়ী, রং উঠে গেলে, ক্ষয়ে গেলে বা কোনো রকমের স্ক্র্যাচ বা দাগ পরলে অ্যাপল ওয়াচের রিস্টব্যান্ড পাল্টে দেবে না অ্যাপল।

৫. স্পোর্ট মডেলে প্লাস্টিক ম্যাগসেইফ চার্জার: ‘ওয়াচ’ এবং ‘ওয়াচ এডিশন’ এই দুই মডেলের মতো ধাতব ম্যাগসেইফ চার্জার থাকবে না অ্যাপল ওয়াচের ‘স্পোর্ট’ মডেলটির সঙ্গে। প্লাস্টিকের ম্যাগসেইফ চার্জার নিয়েই খুশি থাকতে হবে স্পোর্ট মডেলটির ক্রেতাদের।

৬. ব্যাটারি চার্জ হবার গতিও কম নয়: ৩৮ মিলিমিটার আকৃতির অ্যাপল ওয়াচ ব্যবচ্ছেদ করে ভিতরে মিলেছে ২০৫ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি। অন্যদিকে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জের প্রতিবেদক টম ওয়ারেন জানিয়েছেন, তার ৪২ মিলিমিটার আকৃতির অ্যাপল ওয়াচের ব্যাটারি অর্ধেক থেকে পুরো চার্জ নিতে সময় নেয় ১ ঘন্টা।   

৭. পার্থক্য আছে প্যাকেটেও!: অ্যাপল ওয়াচের তিন মডেলে প্যাকেজিং একেবারেই ভিন্ন। সাদামাটা চার কোনো বাক্স মিলবে অ্যাপল ওয়াচ স্পোর্ট। ‘ওয়াচ’ মডেলের সঙ্গে মিলবে চারকোনা প্লাস্টিকের বাক্স।

তবে তিন মডেলের মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ‘ওয়াচ এডিশন’-এর ক্রেতারা পাবেন ‘প্রিমিয়াম প্যাকেজিং’। চার্জিং ডক হিসেবে কাজ করবে এর লেদার লাইনিং।