ই-বর্জ্যের সিংহভাগই গৃহস্থালী যন্ত্র

২০১৪ সালে জমা হওয়া মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ টন বৈদ্যুতিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশই পুরনো মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, ডিশওয়াশার ইত্যাদি গৃহস্থালী বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ। তবে ওই বাতিল যন্ত্রাংশের মধ্যে ভালোমতো রিসাইক্লিং এবং পুনর্ব্যবহারের পদ্ধতি পর্যন্ত পৌছেছে মাত্র ১৬ শতাংশ।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 01:21 PM
Updated : 20 April 2015, 01:21 PM

কোনো দেশে বাতিল বৈদ্যুতিক যন্ত্রের পরিমান কতটা বেশি তা নিয়ে ইউএন ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষকের করা এক রিপোর্টে এই তথ্য জানা গেছে, জানিয়েছে বিবিসি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক যন্ত্র বাতিল ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৭ হাজার ৭২ কিলোটন। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন, পরিমান ৬ হাজার ৩২ কিলোটন আর ২ হাজার ২শ’ কিলোটন বর্জ্য নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জাপান।

অপরদিকে জনপ্রতি বৈদ্যুতিক বর্জ্যের হিসেব অনুযায়ী সব দেশকে টপকে গেছে ইউরোপের দেশগুলো। গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন নরওয়েবাসি প্রায় ২৮ কেজি ৪শ’ গ্রাম বৈদ্যুতিক বর্জ্য তৈরি করে। অপরদিকে আফ্রিকায় জনপ্রতি বৈদ্যুতিক বর্জ্যের পরিমান ১ কেজি ৭শ’ গ্রামেরও কম।

সারাবিশ্বের এই বিশাল বৈদ্যুতিক বর্জ্যের স্তুপের সঙ্গে চাপা পড়ে আছে ১৬ হাজার কিলোটন লোহা, ১ হাজার নয়শ’ কিলোটন তামা তিনশ’ টন স্বর্ণসহ বিভিন্ন মুল্যবান ধাতু। ইউএন ইউনিভার্সিটির গবেষণার হিসেব অনুযায়ী, সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের সম্পদ।

ইউএন আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইউএন ইউনিভার্সিটির রেক্টর ডেভিড মালোন বলেন, “বিশ্বব্যাপি এই বৈদুত্যিক বর্জ্য গঠন করে একটি মুল্যবান ‘শহুরে খনি’।” তিনি আরও বলেন, “এই বিপুল পরিমান বর্জ্যে একটি বিষের স্তুপ, কারণ বেশিরভাগ ডিভাইসেই ব্যবহৃত উপাদানগুলো সঠিকভাবে রিসাইকেল করা হয়নি।