এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাফারি ব্যবহারকারী বনাম গুগল দ্বন্দ্বের মূলে ছিল তথাকথিত ‘সাফারি ওয়ার্কঅ্যারাউন্ড’। এর মাধ্যমে সাফারি ব্রাউজারের ডিফল্ট সিকিউরিটি সেটিংস এড়িয়ে কুকি ইনস্টল করে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ওয়েব সার্ফিংয়ের অভ্যাস, সামাজিক অবস্থান, জাতি, বর্ণ ইত্যাদি ডেটা সংগ্রহ করত গুগল।
অ্যাপল ডিভাইসের জন্য তৈরি সাফারি ব্রাউজার ব্যবহৃত হয় আইম্যাক থেকে শুরু করে মার্কিন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইসেও। ব্রাউজারটির উইন্ডোজ সংস্করণও আছে, যদিও এ ক্ষেত্রে ব্রাউজারটি তেমন জনপ্রিয় নয়।
ব্যবহারকারীদের মামলা করা ঠেকাতে চেষ্টার কমতি ছিল না গুগলের। আদালতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আপিল করে বলা হয়েছিল এই কর্মকাণ্ডে কোনো আর্থিক ক্ষতির শিকার হননি ব্যবহারকারীরা। তাই ব্যবহারকারীদের উচ্চ আদালতে মামলা করার কোনো ভিত্তি নেই, এমনটাই দাবি ছিল গুগলের।
তবে গুগলের আপিলের বিপরীতে বিচারক বলেন, “ব্যবহারকারীদের অভিযোগ যথেষ্ট গুরুতর এবং বিচারের দাবি রাখে।”
একই ইসুতে যুক্তরাষ্ট্রেও আইনি জটিলতার মুখে পড়েছিল গুগল। প্রতিষ্ঠানটিকে ৪ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিল দেশটির ফেডারেল ট্রেড কমিশন। আলাদাভাবে জরিমানা দিয়ে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮টি অঙ্গরাজ্যেও।