রোবোটিকসে আবারও ভারত জয়

দলে সদস্য ছিলেন তিন জন। কিন্তু ভারতের ভিসা মিলেছিলো কেবল একজনেরই। আর প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা নিজের দখলে নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন ওই একজনই।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2015, 12:39 PM
Updated : 24 March 2015, 12:39 PM

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫-এর কোয়ার্টার ফাইনালের দুঃখ এখনও ভোলেনি বাংলাদেশ। যে ভারতের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে এত বিতর্ক, এত অসন্তোষ আর আক্ষেপ, সেই ভারতের মাটিতেই আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জিতে দেশে ফিরছে বাংলাদেশী তরুণদের দুটি দল।

রোবটিকস নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আবারও বাজিমাত করেছে বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকরা। ভারতের কানপুরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলোজি (আইআইটি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ইন্টারন্যাশনাল অটোনোমাস রোবোটিকস চ্যালেঞ্জ (আইএআরসি)-তে চ্যাম্পিয়ন ও ১ম রানার্সআপের স্থান দখল করেছে বাংলাদেশি দল বুয়েট ফায়ারফ্লাইস ও বুয়েট এসি~ডিসি।

বাংলাদেশ থেকে আইএআরসিতে অংশগ্রহনের কথা ছিল তিনটি দলের। ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইএআরসি বাংলাদেশ বাছাই পর্ব-২০১৫ এর চূড়ান্ত পর্ব। এখান থেকেই মূল পর্বের টিকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলোজির (বুয়েট) দল বুয়েট এসি~ডিসি, বুয়েট ফায়ারফ্লাইস আর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাস্ট) কিংকর্তব্যবিমূঢ়।

১৯ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত কানপুরে অনুষ্ঠিত হয় আইএআরসি-২০১৫ এর মূল পর্ব। তবে মূলপর্বে অংশ নিতে পারেননি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দলটির একমাত্র সদস্য সাইফুল ইসলাম অংশ নেননি প্রতিযোগিতায়। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই তিনি ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি বলে টেককে জানান তিনি।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় অংশ নিতে না পারলেও প্রতিযোগিতার শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে নিয়েছে বাংলাদেশের দুই দল, বুয়েট এসি~ডিসি ও বুয়েট ফায়ারফ্লাইস।    

বুয়েট ফায়ারফ্লাইসের সদস্য আরাফাত মাহমুদ ও সামস উজ জামান ভিসানা পাওয়ায় কানপুর যেতে পারেননি। তাই রোবটটিকে সঙ্গী করে একাই অংশ নিতে হয়েছে দলের আরেক সদস্য সাখাওয়াত হোসেনকে। আর চ্যাম্পিয়নও হয়েছে বুয়েট ফায়ারফ্লাইস।

টেককে সামস উজ জামান বলেন, “ভিসা জটিলতার কারণে অংশগ্রহণ করাটা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তখন আমরা মনে-প্রাণে চাচ্ছিলাম যেভাবেই হোক আমাদের রোবটটা যাতে পাঠানো যায়। শেষ পর্যন্ত সাখাওয়াত যেতে পারায় আমাদের সংশয় দূর হয়। এখন চ্যাম্পিয়ন হয়ে আমরা আসলেই অনেক বেশি খুশি।”

দলের বাকি দুই সদস্যকে সাখাওয়াত সুখবরটা দেন টেলিফোনে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অপর বাংলাদেশী দল নাঈম রেজা, মারজান আল জান্নাত আর সীমান্ত চৌধুরীর বুয়েট এসি~ডিসি হয় ১ম রানার্সআপ।

এছাড়াও আইএআরসিতে ইমেজ প্রসেসিং ভিত্তিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা ‘শাফল’-এ অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গতবারের আইএআরসি চ্যাম্পিয়ন বুয়েট এক্সপোনেন্সিয়াল।

ভারতে থাকা কোনো অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সামস উজ জামান টেককে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এই সাফল্যে বাংলাদেশিরা তরুণ উদ্ভাবকরা বেশ উৎফুল্ল।