‘গুগল গেট’

‘ডোন্ট বি ইভল’ বা শয়তান হয়ো না— যে প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র, সেই ওয়েব জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে শীর্ষ পর্যায়ে নৈতিক স্খলনের। এর মধ্যে নিজেদের ‘পাপ’ ঢাকতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ঘুষের অভিযোগও রয়েছে।

আব্দুল্লাহ জায়েদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 11:28 AM
Updated : 23 March 2015, 11:28 AM

সার্চ রেজাল্টে অবৈধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সাইটকে আড়াল করে নিজস্ব পণ্য ও সেবা চালানোর চেষ্টা করেছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)’র এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। অথচ ওই অভিযোগ ওঠার পর যে আইনী প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিষ্ঠাটির, তা কখনো হয়নি। কোনো মামলা হয়নি গুগলের বিরুদ্ধে।

যে প্রতিবেদন নিয়ে এতো হইচই সেটিও আড়াল করতে অন্যায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

বিবিসি জানিয়েছে, গোপন ওই প্রতিবদেন প্রকাশ হওয়ার পর ইউরোপে গুগলের একচেটিয়া প্রভাবের বিরোধীরা আরও সোচ্চার হয়েছেন এই ইসু নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পুনঃনির্বাচনের তহবিল যোগান দিয়ে মার্কিন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে হাত করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৩ সালে ভোটাভোটির মাধ্যমে গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল এফটিসি। কিন্তু ‘দুর্ঘটনাবশত’ প্রতিবেদনটি বাণিজ্যবিষয়ক প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সংবাদকর্মীদের হাতে পৌঁছায় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এফটিসির ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগলের অবৈধ ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন গ্রাহক ও ক্রেতারা। বলা হয়েছে, ভবিষ্যতেও গ্রাহক, অনলাইন উদ্ভাবনী শক্তি ও বিজ্ঞাপন বাজারে ক্ষতিসাধন করবে গুগলের ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ড।

গুগলের বিরুদ্ধে এফটিসির কাছে অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে ইয়েল্প, মাইক্রোসফট এবং ট্রিপঅ্যাডভাইজারের মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান।