৪৮ বছর বয়সী শেন টাশের নাকি খায়েশ হয়েছিল শীর্ষ সোশাল মিডিয়া সাইটটির ‘সুইসাইড প্রিভেনশন প্রোগ্রাম'-কার্যকারীতা যাচাই করে দেখার। তাই ফেইসবুক পোস্টে হুমকি দিয়েছিলেন গোল্ডেন গেইট ব্রিজ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, পোস্টটি চোখে পরে আরেক ব্যবহারকারীর, তিনি ওেই পোস্ট ‘ফ্ল্যাগ’ করার পর খবর চলে যায় স্থানীয় পুলিশের কাছে। ব্যাস, টাশকে গ্রেপ্তার করে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
টাশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়ার পর কোনো ‘মানবিক সাহায্য’ পাননি তিনি। বরং মেডিকাল টেস্টের ভিতর দিয়েই যেতে হয়েছে তাকে। তার অ্যাকান্টটিও বন্ধ করে রেখেছিল ফেইসবুক।
ফেব্রুয়ারি মাসে নিজেদের ‘সুইসাইড প্রিভেনশন প্রোগ্রামে’ বড় পরিবর্তন এনেছে ফেইসবুক। নতুন পলিসিতে কারও পোস্ট দেখে তিনি আত্মহত্যাপ্রবণ মনে হলে ওই পোস্টটি ‘ফ্ল্যাগ’ করতে পারবেন অন্যান্য ব্যবহারকারীরা।
এরপর ফেইবুকের যদি মনে হয় ওই ব্যক্তির সত্যিই আত্মহত্যা করতে চাইছেন তবে স্থানীয় পুলিশকে জানায় ফেইসবুক।
মানসিক হাসপাতাল থেকে ফিরে এ ধরনের পরিস্থিতে ফেইসবুকের আচরণের সমালোচনা করেছেন টাশ। তার মতে এক্ষেত্রে পুলিশ ডেকে আনার বদলে আত্মহত্যা প্রবণ ব্যক্তির দেখভাল তার পরিবার ও বন্ধু মহলের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
“এখানে কোনো সামঞ্জস্য নেই। আমি এটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলাম যে এক্ষেত্রে ফেইসবুকের জড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই।”-- বলেন টাশ। তার পোস্টটি যিনি ‘ফ্ল্যাগ’ করেছিলেন তিনি প্রায় অচেনা এক ব্যক্তি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।