অ্যাপল ওয়াচের জানা-অজানা

আগামী মাসেই হয়ত বাজার মাতাবে বহুল প্রতীক্ষীত পরিধানযেগ্য ডিভাইস অ্যাপল ওয়াচ। আসুন নজর বুলাই অ্যাপল ওয়াচ সম্পর্কে কোন তথ্যগুলো জেনে রাখা উচিৎ।

আব্দুল্লাহ জায়েদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2015, 01:06 PM
Updated : 7 March 2015, 01:06 PM

১. তিন মডেল: তিনটি মডেলে কিনতে পাওয়া যাবে অ্যাপল ওয়াচ। মডেলগুলো হল, অ্যাপল ওয়াচ, অ্যাপল ওয়াচ স্পোর্টস, অ্যাপল ওয়াচ এডিশন।

২. তিন মডেলে তিন উপাদান: অ্যাপল ওয়াচের মডেলভেদে ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। অ্যাপল  ওয়াচে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল, অ্যাপল ওয়াচ স্পোর্টসে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানোডাইজড অ্যালুমিনিয়াম এবং অ্যাপল ওয়াচ এডিশন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮-ক্যারেটের স্বর্ণ। অ্যাপল ওয়াচ আর অ্যাপল ওয়াচ এডিশনের ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে স্যাফায়ার ক্রিস্টাল। আর অ্যাপল ওয়াচ স্পোর্টসে ব্যবহার করা হয়েছে আয়ন-এক্স গ্লাস ডিসপ্লে।

৩. দুটি বাটন থাকবে অ্যাপল ওয়াচের সব মডেলেই।

৪. দুই আকার: তিন মডেলের সবগুলো কিনতে পাওয়া যাবে দুটি ভিন্ন আকারে; ৩৮ মিলিমিটার বা ১.৫ ইঞ্চি এবং ৪২ মিলিমিটার বা ১.৭ ইঞ্চি।

৫.
ইন্টারনেট সংযোগের জন্য চাই আইফোন
: অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে বাড়তি ডিভাইস হিসেবে লাগবে আইফোন। আইফোনের সবগুলো মডেলের সঙ্গে কাজ করবে না অ্যাপল ওয়াচ। অন্তত পক্ষে আইওএস ৮ অপারেটিং সিস্টেম চালিত আইফোন ৫ বা পরের মডেল প্রয়োজন হবে অ্যাপল ওয়াচ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চা্ইলে। ব্লুটুথের মাধ্যমে আইফোনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে অ্যাপল ওয়াচ।

৬. দাম হবে কমপক্ষে ৩৪৯ ডলার: বলা হচ্ছে অ্যাপল ওয়াচের সর্বনিম্ন দাম হবে ৩৪৯ ডলার। ম্যাশএবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পোর্টস মডেলের দাম এটি। অন্য মডেলের দাম হতে পারে আরও বেশি। সমালোচকরা বলছেন, ‘দামটা একটু বেশিই অ্যাপল ওয়াচের’।

৭. দুই রঙে প্রতি মডেল: তিনটি মডেলই কিনতে পাওয়া যাবে দুটি রঙে। অ্যাপল ওয়াচে স্টেইনলেস স্টিল ও কালো স্টেইনলেস স্টিল, স্টোর্টস মডেলটি পাওয়া যাবে রুপালি ও ধূসর অ্যালুমিনিয়াম রঙে। অ্যাপল ওয়াচ এডিশন পাওয়া যাবে ১৮-ক্যারেটের ‘ইয়েলো গোল্ড’ আর ‘রোজ গোল্ড’ রঙে।

৮. ছয় ডিজাইনের রিস্টব্যান্ড থাকবে অ্যাপল ওয়াচের জন্য।

৯. ব্যায়ামের সময়ও অ্যাপল ওয়াচ: হার্টরেট সেন্সর ও অ্যাক্সেলেরোমিটার থাকবে অ্যাপল ওয়াচে। তবে জিপিএস থাকবে না ডিভাইসটিতে।

১০.
‘নোটিফিকেশন ট্যাপ’
: নোটিফিকেশন এলেই ব্যবহারকারীর ত্বকে ‘আলতো ট্যাপ’ করে জানান দেবে অ্যাপল ওয়াচ। প্রিয়জনও অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারী হলে ওই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের জানান দেওয়া নিজের হৃদস্পন্দন সম্পর্কেও।

উত্তর মেলেনি যে প্রশ্নগুলোর:

১. বিশ্ববাজারে অভিষেকের সময়সূচী: বিশ্ববাজারে অ্যাপল ওয়াচের অভিষেকের সময় সূচী এখনও গোপন রেখেছে অ্যাপল। ধারণা করা হচ্ছে অ্যাপল ওয়াচের সম্ভাব্য ক্রেতাদের অপেক্ষা করতে হবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। ৯ মার্চের অ্যাপল ওয়াচ ইভেন্টেই উত্তর মিলবে এই প্রশ্নের।

২. মার্কিন বাজার: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোতে একই দিনে ডিভাইসগুলোর বিক্রি শুরু হবে নাকি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে শুরু হবে সেটিও অনিশ্চিত।

৩.
মডেল ভেদে দাম
: স্পোর্টস মডেলের দাম হবে ৩৪৯ ডলার। ধারণা করা হচ্ছে এটাই অ্যাপল ওয়াচের সর্বনিম্ন দাম। অ্যাপল ওয়াচ ও অ্যাপল ওয়াচ এডিশন মডেল দুটির দাম আরও বেশি হবে ধারণা করা হচ্ছে।

৪. ব্যাটারি লাইফ: অ্যাপল ওয়াচের ব্যাপারে উৎসাহী ক্রেতাদের সবচেয়ে মাথা ব্যাথার কারণ এর ব্যাটারি লাইফ। একবারের চার্জে অ্যাপল ওয়াচ কতোক্ষণ চলবে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি অ্যাপল। আর ব্লুটুথের মাধ্যমে সব সময় আইফোনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে বলে অ্যাপল ওয়াচের ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে চিন্তিত উৎসাহী ক্রেতাদের অনেকেই।

৫. রিস্টব্যান্ড বিভ্রান্তি: অ্যাপল ওয়াচের তিনটি মডেলের জন্য ছয়টি ডিজাইনের রিস্টব্যান্ড তৈরি করেছে অ্যাপল। এই রিস্টব্যান্ডগুলো আলাদা কেনা যাবে কি না তা এখনও পরিস্কার নয়।