প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদের সাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, মামলার বাদী জেসিকা বেনেট নামের এক নারী ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবি করেন, একটি স্প্যাম বিজ্ঞাপন দেখার পর তিনি ভেবেছিলেন তার ল্যাপটপ কোনো স্পাইওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু পরে তিনি দেখেন এটি সুপারফিস অ্যাডওয়্যার যা আগেই তার কম্পিউটারে ইনস্টল করা ছিল। মামলায় লেনোভোর বিরুদ্ধে ধোঁকাবাজিমূলক ব্যবসা, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির অভিযোগ আনা হয়েছে।
লেনোভো ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি বছর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কিছু ল্যাপটপে সুপারফিস প্রিইনস্টল করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়। সুপারফিস এইচটিটিপিএস প্রোটোকল ভাঙতে সক্ষম ও ‘এনক্রিপ্টেড কানেকশন’ হাইজ্যাক করতে হ্যাকারদের সহায়তা করে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে হ্যাকাররা পিসি থেকে ইমেইল ও ব্যাংকিং সংক্রান্ত তথ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি করতে পারে।
গেল সপ্তাহে সুপারফিস নিয়ে ব্যবহাকারীদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কবার্তা জারি করে মার্কিন সরকার। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ সুপারফিসকে একটি ‘স্পাইওয়্যার’ বলে আখ্যা দেয়।
প্রথমে সুপারফিসের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে এমন অবস্থান থেকে সরে আসে লেনোভো কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীদেরকে অ্যাডওয়্যারটি সরানোরও পরামর্শ দেয় তারা।