সাবেক এনএসএ ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা নথিপত্রের ভিত্তিতে এনএসএ এবং জিসিএইচকিউয়ের ওই অনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্ট।
ইন্টারসেপ্টের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালে এনএসএ ও জিসিএইচকিউ কর্তৃক হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছিল নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেমাল্টো। বিশ্বের ৮৫ টি দেশে এটিঅ্যান্ডটি, টি-মোবাইল, ভেরাইজন এবং স্প্রিন্টসহ সাড়ে চারশ’ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জেমাল্টোর তৈরি সিমকার্ড ব্যবহার করে। ৪০টি দেশে সিমকার্ড উৎপাদনের কারখানা আছে জেমাল্টোর।
জেমাল্টোর কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এনএসএ ও জিসিএইচকিউ বিশ্ব জনসংখ্যার একটি বড় অংশের মোবাইল ব্যবহারের উপর নজরদারি করার সুযোগ পেয়েছিল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থা দুটি প্রথমে জেমাল্টোর কর্মীদের উপর সাইবার নজরদারি শুরু করে। পরে তাদের ইমেইল হ্যাক করে কয়েক হাজার এনক্রিপশন চুরি করতে সক্ষম হয়। চুরি করা এনক্রিপশন কোডের মাধ্যমে গোয়েন্দা সংস্থা দুটি মোবাইল ফোন আর নেটওয়ার্ক টাওয়ারের মধ্যে আদান প্রদান করা ডেটা ডিকোড করে ব্যবহারকারীর ফোন কল, টেক্সট মেসেজ ও ইমেইলের তথ্যও সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
এই পদ্ধতিতে গোয়েন্দা সংস্থা দুটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারের অনুমতি ছাড়াই কোনো প্রমাণ না রেখে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি করতে পারতো বলে জানিয়েছেন বিবিসির সংবাদকর্মী নাওমি গ্রিমলি।