চীনের দাবি মানল অ্যাপল

চীনা সরকারকে নিজেদের পণ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার সুযোগ দেবে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। নিজেদের ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে চীনের নাগরিকদের উপর নজরদারি করছে অ্যাপল, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2015, 12:01 PM
Updated : 27 Jan 2015, 12:03 PM

বিলেতি দৈনিক টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক কম্পিউটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার দাবি জানায় চীনের ‘স্টেট ইন্টারনেট ইনফর্মেশন অফিস’। চীনের বাজারে অ্যাপল পণ্যের বিক্রি অব্যাহত রাখতে এই দাবি মেনে নেন অ্যাপলের সিইও টিম কুক, জানিয়েছে দ্যা টেলিগ্রাফ। তবে ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারি করার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে অ্যাপল।

বেইজিং নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের স্টেট ইন্টারনেট ইনফর্মেশন অফিসের পরিচালক লু ওয়েই-এর সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিলেন টিম কুক। বৈঠকে অ্যাপল সম্পর্কে ব্যাক্তিগত তথ্য পাচার করার গুজব আছে একথা স্বীকার করে কুক বলেন “অ্যাপল কখনই ব্যবহারকারীদের তথ্য পাচার করেনি।”

বৈঠকে ওয়েই বলেন-- “চীনা ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপলের ডিভাইসগুলো নিরাপদ সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিভাইসগুলোকে চীনা অফিসারদের হাতে পরীক্ষিত হতে হবে।”

অ্যাপল পণ্যের বৃহত্তম বাজারগুলোর মধ্যে একটি হল চীন। তবে কুপারটিনোভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির উপর আস্থা নেই চীনা সরকারের। শুধু অ্যাপলই নয়, আইবিএম, সিসকো-র মত প্রতিষ্ঠানের উপরেও অভিযোগ আছে দেশটির সরকারের, জানিয়েছে ম্যাশএবল।

গত গীষ্মে চীনের স্থানীয় এক টেলিভিশন প্রোগ্রামে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, স্মার্টফোনের “ফ্রিকুয়েন্ট লোকেশনস” ফিচারটির মাধ্যমে চীনা নাগরিকদের গতিবিধির উপর নজর রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। আরও জানানো হয়, সংগৃহীত ওই তথ্যগুলো ব্যবহার করে জানা যাবে চীনের আর্থিক অবস্থা, এমনকি রাষ্ট্রের গোপন তথ্যও।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে অ্যাপল জানায়, “ফ্যিকুয়েন্ট লোকেশনস” ফিচারটি এনক্রিপ্টেড এবং ফিচারটির সংগৃহীত তথ্যের কোন ব্যাকআপ রাখা হয়না। এছাড়াও ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়াও সম্ভব।