অধিকাংশ ক্যান্সারই আদতে দুর্ভাগ্য

এক গবেষণায় জানা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের জন্য জীবনযাপন পদ্ধতি নয় বরং ডিএনএ’র বিশেষ পরিবর্তন দায়ী। তবে মানুষ প্রচলিত যেসব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সেসবের অধিকাংশের কারণ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2015, 12:25 PM
Updated : 4 Jan 2015, 12:25 PM

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র ভাষ্যে, গবেষণার তথ্য জানার পরও সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।

জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য অনুসারে, সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ স্বত্ত্বেও ডিএনএ-তে বিশেষ পরিবর্তন ঘটলে মানুষ কিছু সংখ্যক ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সবার ডিএনএতেই যে এমন পরিবর্তন হবে সেরকম কোনো কথা নেই। এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার বিষয়টি মানব টিসু পুনঃউৎপাদনের উপর নির্ভর করে থাকে বলেই মনে করছেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন এবং ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষক দল।

ডিএনএ পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে দুই-তৃতীয়াংশ ধরনের ক্যান্সার, অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার বিষয়টি নির্ভর করে মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করছেন তার উপর। এ প্রসঙ্গে গবেষণা সম্পন্নকারী দাতব্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এমা স্মিথ জানিয়েছেন, তাদের হিসেব অনুযায়ী দশটির মধ্যে চারটিরও বেশি ধরনের ক্যান্সার শুধু জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমেই ঠেকানো সম্ভব। এই পরিবর্তনে ক্যান্সারে আক্রান্ত না হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব না হলেও, পরিবর্তনগুলো আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।