আইটিউনস সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে অন্য মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও গ্রাহকদের বঞ্চিত করার অভিযোগে আনা হয়েছিল ওই মামলায়। হারলে বাদীপক্ষকে একশ’ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হত অ্যাপলের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা লড়ছিলেন ৮০ লাখ আইপড ব্যবহারকারী এবং ৫০০ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের হয়ে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৫ কোটি ডলার দাবি করেছিলেন তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ‘অ্যান্টি-কম্পিটিশন’ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে তিনগুণ জরিমানা দিতে হয় দোষী প্রতিষ্ঠানকে। ফলে একশ’ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শঙ্কায় ছিল অ্যাপল।
২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে আইটিউনস সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপল ব্যবহারকারীদের পরোক্ষভাবে আইপড কিনতে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।
কৃত্রিমভাবে আইপডের দাম বাড়ানোর অভিযোগও আনা হয়েছিল অ্যাপলের বিরুদ্ধে। মামলার তথ্য প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল প্রয়াত অ্যাপল গুরু স্টিভ জবসের ইমেইল আর ভিডিও কনটেন্ট।
বাদীপক্ষের অভিযোগের বিপরীতে অ্যাপলের ব্যাখ্যা ছিল, প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঠেকানোর জন্য নয় বরং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করেছিল আইটিউনস ৭.০ সফটওয়্যার আপডেট। নিরাপত্তা বাড়িয়েছিল আইপডের। শেষ পর্যন্ত অ্যাপলের পক্ষেই সর্বসম্মত রায় দেন জুরি বোর্ড।