এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল জানিয়েছে, আসন্ন এসব স্মার্টফোনের রেজুলিউশন বর্তমানের সবচেয়ে আধুনিক টিভির মতো হবে।
তবে কোয়ালকম জানিয়েছে, তাদের কাছে ৪কে স্মার্টফোনের বিষয়টি এমন একটি বিশ্বকে সমর্থন করার মত যেখানে ৪কে-কে ভিডিও’র নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর তাই চিপ থেকে শুরু করে ফাইল ট্রান্সমিট করার কমপ্রেশন প্রযুক্তিসহ সব যাতে ৪কে মাফিক হয়, সে চেষ্টাই করছে কোয়ালকম।
এ প্রসঙ্গে কোয়ালকম টেকনোলজিসের কো প্রেসিডেন্ট মার্থি রেন্ডাচিন্টালা জানিয়েছেন, ৪কে ফোন স্ক্রিন নয়, বরং ৪কে-তে ধারণ করা ডেটা ও সরবরাহকৃত ডেটা নিয়ে ব্যবহারকারী কী করতে চান সেটিই হবে এসব স্মার্টফোনের প্রচার উপাদান।
স্মার্টফোনগুলো ৪কে সেবা গেইমিং কনসোলের সঙ্গে মিল রেখে মোবাইলেও একই গেইম খেলতে সাহায্য করবে। এ প্রসঙ্গে কোয়ালকম টেকনোলজিসের অপর কো প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ানো এমোন জানিয়েছেন, যদি অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস গেইম ৪কে-তে খেলা হয়, তাহলে গেইমার কনসোলে গেইম খেলার অনুরূপ অভিজ্ঞতাই পাবেন। তবে এক্ষেত্রে এক ডলার ৯৯ সেন্ট খরচ হতে পারে।
এমোন আরও জানিয়েছেন, স্মার্টফোনটি এমন একটি ডিভাইস হতে পারে যা ব্যবহারকারী টিভি’র সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবেন, ফলে মোবাইলটিই হয়ে উঠবে ব্যক্তিগত রিমোট কন্ট্রোল। এছাড়া ব্যবহারকারী কন্টেন্ট তৈরি করতে, পাঠাতে বা স্ট্রিম করে দেখতে পারবেন। বর্তমানে কোয়ালকম মোবাইলে ৪কে ডেটা প্রসেসিংয়ের সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ম্যাশএবলের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে বিদ্যমান স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এখন শুধু সনি এক্সপেরিয়া জেড৩ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৪-এ ৪কে ফরম্যাটে ভিডিও ধারণ করা যায়।