এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এই হ্যাকিংসম্পর্কিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসব ক্যামেরার অধিকাংশই নিজ বাড়ি বা ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ইনস্টল করা এবং মালিকরা চাইলে ইন্টারনেটের সাহায্যে নিজস্ব সম্পত্তির উপর নজর রাখতে পারেন। কিন্ত এসব ক্যামেরার লগ-ইন সম্পর্কিত তথ্য সহজেই অনলাইনে পাওয়ার ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি আর থাকছে না।
তবে রাশিয়ান ওই ওয়েবসাইট দাবি, ক্যামেরাগুলোর নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা জানানোর লক্ষ্যেই সাইটে ভিডিওগুলো স্ট্রিম করা হচ্ছে। দুর্বলতার গুরুত্ব তুলে ধরতে সিসিটিভি নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে বাড়ির ভেতরের ভিডিও পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে সিএনএন। এ প্রসঙ্গে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, “এই ক্যামেরাগুলো হ্যাক করা হয়নি। অজানা কোনো কারণে এই ক্যামেরাগুলোর মালিকেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন।”
সাইটটিতে ব্রাউজ করে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় চার হাজার ছয়শ’, নেদারল্যান্ডে প্রায় এক হাজার পাঁচশ’, ফ্রান্সে দুই হাজারেরও বেশি এবং আরও একশ’ দেশের হাজারো ক্যামেরার ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি লিংকের সঙ্গেই কিছু তথ্য আসে যা ক্যামেরার জিপিএস কোঅর্ডিনেট, পোস্টকোড, টাইম জোন এবং ম্যাপে সঠিক অবস্থান বলে দাবি করছে সাইটটি।
বড়মাপের এই নিরাপত্তা দুর্বলতা প্রসঙ্গে বিগ ব্রাদার ওয়াচ প্রাইভেসি প্রেসার গ্রুপের পরিচালক এমা কার, পাসওয়ার্ড দুর্বলতার কারণে সৃষ্ট এ অবস্থাটিকে দরজা খুলে রাখার সঙ্গে তুলনা করে জানিয়েছেন, দুই অবস্থাতেই ব্যক্তিগত ব্যাপার ও নিরাপত্তা একই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ইনফর্মেশন কমিশন অফিস জনসাধারণকে ক্যামেরা হ্যাকিং থেকে রক্ষার্থে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ হাজারেরও বেশি এ রকম ডিভাইস উৎপাদনকারী চীনা প্রতিষ্ঠান ফোসকাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানায়নি। প্যানাসনিক এবং লিংকসিস নির্মিত ক্যামেরাতেও একই সমস্যা দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।