হ্যাকিং হলে স্বীকার করুন: কংগ্রেস

কোনো মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটলে যতো দ্রুত সম্ভব সেটি স্বীকার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।

মামুনুর রশীদ শিশিরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 11:31 AM
Updated : 20 Nov 2014, 11:31 AM

এ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি অ্যাকাউন্টধারীর ব্যাক্তিগত তথ্যাদি। তবে হ্যাকিংয়ের কথা প্রায়ই স্বীকার করে না প্রতিষ্ঠানগুলো। আর করলেও জানায় কিছু অসচ্ছ ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য, যা থেকে ঘটনার গম্ভীরতা অনুধাবন করতে পারেন না ভুক্তভোগীরা।

এমন অবস্থার পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস, জানিয়েছে সিএনএন। মঙ্গলবার সকালে ১৬টি মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে হ্যাকড হওয়ার কথা স্বীকার করার আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও কংগ্রেস সদস্য এলাইজা ই. কামিংস। আদেশে আরও বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানাতে হবে কিভাবে হ্যাক হয়েছে এবং কতটা তথ্য হাতিয়েছে হ্যাকাররা।

এ বছরের শুরুর দিকে হ্যাকাররা আক্রমণ করেছিল জেপিমরগান ব্যাংকে, হাতিয়ে নেয় ৮ কোটি অ্যাকাউন্টধারীর তথ্য। তবে সিএনএনের মতে, একই সময়ে আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য হ্যাক করে হ্যাকাররা। কামিংস ও ওয়ারেনের চিঠি অনুযায়ী, “সাইবার আক্রমণ ও ডেটা চুরির ঘটনার আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি একবারেই অপ্রত্যাশিত এবং আমাদের আর্থিক ব্যবস্থার উপর বড় ধরনের ঝুঁকি।”

ইসু করা ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে-- “এ পর্যন্ত হ্যাকাররা সংগ্রহ করেছে প্রায় ৫০ কোটি আর্থিক তথ্য। অ্যাকাউন্টধারীদের তথ্য নিরাপদে থাকবে এই বিশ্বাসই আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি।”

এ ছাড়াও প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে মুখোমুখি হতে চান এই দুই মার্কিন রাজনীতিবিদ। তবে তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য তারা চাইছেন তা এফবিআই-এর কাছে ইতোমধ্যেই আছে, জানিয়েছে সিএনএন। তবে এতটা তথ্য জনগনের কান পর্যন্ত পৌছায় না। হ্যাক হবার পর ওই প্রতিষ্ঠানটিকে আইনগত জটিলতায় ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রে আছে ৪৭টি রাজ্যভিত্তিক আইন। কিন্তু হ্যাক হলে অ্যাকাইন্টধারীদের কি কি তথ্য চুরি গেছে তা জানাতে বাধ্য করার মত কোন আইন নেই যুক্তরাষ্ট্রে।