লাইভসায়েন্স ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কম্পিউটারের মাধ্যমে একজন মানুষের চিন্তাভাবনা প্রায় আধমাইল (০.৮ কিলোমিটার) দূরে বসে থাকা আরেকজন মানুষের মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের ওই গবেষকরা।
গবেষকরা মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে যোগাযোগের প্রযুক্তি প্রথমবারের মতো দেখিয়েছিলেন ২০১৩ সালে অগাস্ট মাসে। গত একবছরে এই প্রযুক্তি নিয়ে আরও কঠিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। এই প্রযুক্তি বহুল ব্যবহারের উপযোগী করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
সরাসরি মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে যোগাযোগ করতে প্রয়োজন দুজন মানুষের। প্রথম জনের মাথায় থাকে একটি ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি ক্যাপ। ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাফি ক্যাপের সেন্সরগুলো মস্তিষ্কের সংকেত গ্রহণ করে কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়। কম্পিউটার সংগৃহীত সিগনালকে ইলেকট্রিক পালসে রূপান্তরিত করে গ্রাহকের মাথার ‘ট্র্যান্সক্রেনিয়াল ম্যাগনেটিক সিমুলেশন কয়েল’-এ পাঠিয়ে দেয়। মস্তিষ্কের যে অংশ হাতের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে কয়েলটি থাকে সেই অংশের কাছে। এর ফলে প্রথম ব্যক্তি যখন তার হাত নাড়ানোর কথা চিন্তা করে, তখন দ্বিতীয় ব্যক্তির হাত স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নড়ে ওঠে।
গবেষকরা প্রযুক্তিটি পরীক্ষা করেছেন তিন জোড়া স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে। তবে সবক্ষেত্রে সমান ফল না পেলেও ২৫ থেকে ৮৩ শতাংশ ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে সফলভাবে সিগনাল পাঠাতে এবং তা থেকে কার্যকর ফল পেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষক দলটি এই প্রযুক্তি নিয়ে আরও জটিল পর্যায়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। একসময় শিক্ষকের মস্তিষ্ক থেকে শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কে সরাসরি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।