আয়ানের বয়স এখন ছয়। তার বাবা নিজেও একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিন বছর বয়সেই বাবার হাত ধরে কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচয় আয়ানের। বাবার পুরনো কম্পিউটার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে আয়ান এখন পাক্কা কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ।
খেলতে খেলতেই হার্ডড্রাইভ আর মাদারবোর্ডের মতো কাটখোট্টা বিষয়গুলো আয়ত্ত করে নিয়েছে আয়ান। “একবার ওকে কিছু বললে পরের দিন সেটা ও ঠিকই মনে করতে পারতো। তাই ওকে আরও বেশি বেশি শেখাতে শুরু করি আমি।”-- আয়ানের অগ্রগতি এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন তার বাবা।
এত অল্প বয়সে কম্পিউটারের সংস্পর্শে নেতিবাচক প্রভাবের ভয় থাকলেও আয়ান পুরো ব্যাপারটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে আয়ান পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে মাইক্রোসফটের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে। এই পরীক্ষা দিতে বসে বড়দের যেখানে মাথার ঘাম ছুটে যায়, সেখানে আয়ানের অনুভূতি একেবারেই উল্টো। কঠিন হলেও পরীক্ষা নাকি বেশ মজার ছিল বলে বিবিসিকে জানিয়েছে এই শিশু।
এমনকি চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল পরীক্ষকদেরও। এত ছোট একটা শিশু পরীক্ষা কীভাবে দেবে সেটা নিয়ে পরীক্ষকরা যখন সন্দিহান, তখন আয়ান ঠিক পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন আয়ানের বাবাই।
এখন বাসায় নিজের জন্য আলাদা কম্পিউটার ল্যাব বানিয়ে নিয়েছে আয়ান। দিনে দুই ঘন্টা করে অপারেটিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে আর বিভিন্ন প্রোগ্রাম কীভাবে ইনস্টল কনতে হয় সেটা শেখে আয়ান।