সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রবিবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন কোমে। আইওএস ৮-এ ডিফল্ট এনক্রিপশন ফিচারের বদৌলতে আইফোনের আসল মালিক ছাড়া অন্য কেউ ডিভাইসের টেক্সট মেসেজ, ছবি ও ইমেইল অ্যাকসেস করতে পারবে না। এই ফিচারটি চালু থাকলে, চাইলেও সন্দেহভাজন ব্যক্তির আইফোন থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
অ্যাপলের পথ অনুসরণ করে একই ধরনের এনক্রিপশন সেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে গুগলও। আর শীর্ষ দুই প্রযুক্তি জায়ান্টের এই পদক্ষেপে একেবারেই খুশি নন এফবিআই প্রধান।
“আদালতের নির্দেশ, সম্ভাব্য তথ্য প্রমাণ হাতে থাকার পরও সন্দেহভাজন অপহরণকারী, শিশু নিপীড়ক এবং সন্ত্রাসীদের আইফোন অ্যাকসেস করতে পারবো না আমরা? আমি মনে করি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছানোর মানে হলো আমরা বাড়াবাড়ি করে ফেলছি ।”- সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেন কোমে।
তবে এফবিআই প্রধানের এই বক্তব্য পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে সিএনএন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরাসরি ব্যবহারকারীর ফোন থেকে ডেটা নিতে না পারলেও অ্যাপল ও গুগলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে ঠিকই ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এফবিআই।
পরোয়ানা থাকার পরও ডিভাইস থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে না দিলে আদালতের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে এফবিআই। তারপরও ডেটা অ্যাকসেস করতে না দিলে আদালত অবমাননার অভিযোগে কারাদণ্ড হতে পারে ওই ব্যবহারকারীর।
কোমের বক্তব্য নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এফবিআই বা অ্যাপল।