প্রজেক্টটির গবেষকরা দাবি করেছেন সমমানের ক্ষমতার টেলিস্কোপের তুলনায় অন্তত এক দশমাংশ খরচে তৈরি করা যাবে এমন টেলিস্কোপ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিস্কোপে তোলা ছবিগুলো একটি বিজ্ঞান মেলার অংশ হিসেবে প্রকাশ করা হয় । উদ্বোধনের সময়ই টেলিস্কোপটি দিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠের বেশ কয়েকটি ছবি তোলা হয়।
‘পিকনের’ একজন ডেভেলপার ও পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক রিগলে বলেন , নতুন টেলিস্কোপটি হতে পারে একটি ‘গেইম চেঞ্জার’। তাদের বানানো ‘পিকন’ বিখ্যাত ‘ডবসোনিয়ান পেভমেন্ট’ টেলিস্কোপের সমপর্যায়ে পৌছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
“এটি আসলে মানুষের কাছে প্রযুক্তিকে আরো সহজলভ্য করার একটি প্রক্রিয়া।”
টেলিস্কোপটির প্রাণকেন্দ্রে থাকে রাসবেরি পাইয়ের একটি ক্যামেরা মডিউল এবং ব্রিটিশ নির্মাতা বেয়ারবোনসের কম্পিউটার চিপ। থ্রিডি প্রিন্টারে প্রস্তুত করা যন্ত্রাংশের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরার সেন্সরটি থাকে একটি অবতল দর্পণের ফোকাস বিন্দুতে।
টেলিস্কোপ তৈরি করার নকশা অনলাইনে ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যাবে এবং এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি করতে হবে কিছু অংশ। অন্যন্য অংশগুলো যেমন লেন্স এবং আয়না কিনতে পাওয়া যাবে অনলাইনে।
‘পিকন’ টেলিস্কোপটির রয়েছে ১৬০ গুণ বিবর্ধণ ক্ষমতা। টেলিস্কোপটি দিয়ে মেঘহীন রাতের আকাশে তারা এবং কিছু গ্রহসহ বেশ স্পষ্ট ভাবেই দেখা যাবে চাঁদের পৃষ্ঠভাগ । রিগলে বলেন, ভবিষ্যতে ডিভাইসটির উন্নয়নে এর ব্যবহারকারীদের মতামত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।