বর্তমান সফটওয়্যার বাজারে আয়ের হিসেবে মাইক্রোসফটের পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে ওরাকল। ১৯৭৭ সালে বব মাইনার এবং এড ওটসের সঙ্গে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এলিসন। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডেটাবেইজ প্রযুক্তি ও যন্ত্র বিক্রয় করে।
ওরাকলের ছাড়াও একসময় প্রযুক্তিনির্মাতা অ্যাপলের বোর্ড সদস্যও ছিলেন এলিসন। ৯০ দশকের শেষের দিকে অ্যাপল যখন চরম দুরবস্থায় তখন বন্ধু স্টিভ জবসের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন তিনি।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এলিসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে ওরাকলের সিইও পদে বসছেন সাফরা কাটজ ও মার্ক হার্ড। পদবী এক হলেও প্রতিষ্ঠানটির আলাদা আলাদা অংশের দেখভাল করবেন ওই দুজন।
ওরাকলের অর্থায়ন, উৎপাদন এবং আইনসংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখাশোনা করবেন সাফরা কাটজ। অন্যদিকে বিক্রয়, সেবা এবং ব্যবসায় ইউনিটের দায়িত্বে থাকবেন মার্ক হার্ড।
এক বিবৃতিতে ওরাকল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল বসকিন বলেন, “ল্যারি একটা বিষয় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে-- প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও কৌশল বিষয়েই পুরো সময় দিতে চায় সে”।
সিইও পদ ছাড়লেও ওরাকলের সফটওয়ার এবং হার্ডওয়্যার প্রকৌশল বিভাগ বরাবরের মতই রিপোর্ট করবে এলিসনের কাছে।
নতুন দুই সিইওর সঙ্গে কাজ সম্পর্কে এলিসন বলেন, “গত কয়েক বছর ধরেই একসঙ্গে কাজ করেছি আমরা তিনজন। ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করা পরিকল্পনা করছি আমরা।”
ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ১’শ ৩০ কোটি ডলার। এর মধ্যে আছে ওরাকলের ২৫ শতংশ মালিকানাও।