স্মার্টফোন নির্মাতার সেকাল-একাল

সম্প্রতি অ্যাপলের নতুন দুই আইফোন উন্মোচন, অ্যামাজনের নতুন স্মার্টফোনের দাম কমানো আর মাইক্রোসফটের স্মার্টফোনে মাইনক্র্যাফট গেমে সংযোজন- এমন সব ঘটনার পর ‘স্মার্টফোন’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গিয়েছে। অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট আর স্যামসাং এর মত নামি-দামি কোম্পানি গুলোর খুঁটিনাটি জেনে নিন।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 01:15 PM
Updated : 15 Sept 2014, 01:15 PM

অ্যাপলের আইফোন৬ আর আইফোন৬ প্লাস

২০০৭ সালে ব্যপক হুজুগ নিয়ে বাজারে আসে অ্যাপলের আইফোন। একের পর এক চমকের ধারায় কিছুদিন আগে যোগ হয় আইফোন ৬ আর আইফোন ৬ প্লাস। বড় স্ক্রিনের ফোন অ্যাপল সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এর অসম্ভব অপছন্দের তালিকায় ছিল। কিন্তু এবার অ্যাপল-এর চলতি প্রধান নির্বাহী টিম কুক ছোট আকৃতির ফোনের ধারা থেকে বের হয়ে এলেন। নতুন ৪.৭ ইঞ্চির আইফোন ৬ আর ৫.৫ ইঞ্চির আইফোন ৬ প্লাস সেটাই নির্দেশ করে।

এখন আইফোনের মাধ্যমে মোবাইল পে সার্ভিস, ডিজিটাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজিং, কার-হেইলিং অ্যাপ উবার-এর মত বিভিন্ন নতুন সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। দুই বছরের চুক্তিসহ ১৯৯ মার্কিন ডলারে আইফোন ৬ আর ২৯৯ মার্কিন ডলারে আইফোন ৬ প্লাস বাজারে ছাড়া হয়।

বিশ্বে প্রযুক্তি ব্যবসায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লাভবান অবস্থায় আছে আইফোন। প্রি-অর্ডারের প্রথমদিনেই আইফোন ৬ প্লাস এর স্টক শেষ হয়ে যায়।

অ্যামাজন ফায়ার ফোন

এই বছরেই স্মার্টফোন বাজারে প্রবেশ করে অনলাইনে শীর্ষ খুচরা বিক্রেতা অ্যামাজন। স্মার্টফোন বাজারে আসতে তারা অনেকটাই দেরি করে ফেলেছে। বাজারের অন্যান্যদের তুলনায় কমমূল্যে বেশী সুবিধা দেয়া- কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস-এর এমন ব্যবসায়ের কৌশলকে এই বিলম্বতার কারণ হিসেবে ধরা হয়।

এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি স্মার্টফোন বাজারে তেমন সাড়া ফেলতে পারে নি। হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম আর থ্রিডি ইফেক্টের মত ফিচারগুলো তেমন জনপ্রিয়তা পায় নি। সেই সঙ্গে তাদের এই ফায়ার ফোনের দাম ১৯৯ মার্কিন ডলার ঠিক করায়, গ্রাহকরা এ ফোনের প্রতি আগ্রহ হারায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোম্পানিটি মাত্র কয়েক লাখ ফোন বিক্রি করতে পেরেছে।

তবে, বাজারে ফায়ারফোনের জনপ্রিয়তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। বেজোসের কৌশলের কারণে যে কোনো সময় তা বাজারে সাড়া ফেলতে পারে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৫ আর নোট৪

প্রযুক্তিখাতে স্যামসাং বরাবরই ‘ফাস্ট ফলোয়ার’ হিসেবে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, স্যামসাং নিজেদের আইডিয়া দিয়ে নতুন কিছু করতে পারে না, তারা অন্যদের আইডিয়া অনুসরণ করে থাকে। অনেকটা আইফোনের ‘নকল’ করেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রবেশ করে স্যামসাং। তবে শীঘ্রই বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত হয় তারা।

সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন কিটক্যাট চালিত গ্যালাক্সি এস৫ বের করে স্যামসাং। সম্প্রতি তারা উন্মোচন করে ৫.৭ ইঞ্চি স্ক্রিনের নতুন নোট ৪।

মাইক্রোসফটের নকিয়া লুমিয়া ৯৩০

‘আইফোনের বাজারে জনপ্রিয়তা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই’- ২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের সেসময়কার প্রধান নির্বাহী স্টিভ বলমারের এমন উক্তি অনেকটা হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। ফিনিশ মোবাইল কোম্পানি নকিয়া কেনার পর কোম্পানিটির বর্তমান প্রধান নির্বাহীকে এখন বাজারে টিকে থাকার চিন্তা করতে হচ্ছে।

যদিও মাইক্রোসফট উন্নত সুবিধা দিচ্ছে কিন্তু ‘নেটওয়ার্ক ইফেক্ট’ এর কারণে বেগ পেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। নেটওয়ার্ক ইফেক্টের কারণে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় স্মার্টফোনগুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়তে থাকায় তেমন সুবিধা করতে পারছে না মাইক্রোসফট।