এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ইয়াহু’র নারী কর্মকর্তা মারিয়া জ্যাংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এই অভিযোগ এনেছেন শি।
এপ্রিলে শি বিষয়টি ইয়াহুর মানবসম্পদ বিভাগে জানান। “আমি নিরাপদ বোধ করছি না। আমি যৌন হয়রানি এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিশোধের শিকার হয়েছি।”--ইয়াহুর মানবসম্পদ বিভাগের কাছে লেখা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে এমনটাই লিখেছিলেন শি।
পরবর্তী সময়ে শির অভিযোগের তদন্ত করে ইয়াহুর মানবসম্পদ বিভাগ। তদন্ত চলাকালীন শি’কে বাসায় থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তদন্তে শি’র অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ না পাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি ইয়াহু।
তদন্ত চলার সময়টি তার জন্য খুবই কঠিন ছিল। তিনি আরও জানান তদন্তের অপেক্ষায় থাকার সময় তিনি বিষন্ন হয়ে পড়েন। তদন্তের ফলাফল জানার পর তার হতাশা আরও বৃদ্ধি পায় বলেই জানিয়েছেন শি।
শি জানিয়েছেন, ইয়াহু থেকে তার খোঁজখবর নেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে ফোন করা হয় এবং প্রত্যেকবারই তাকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ তদন্ত চালানো হয়েছে এবং তারা কোনো প্রমাণ পাননি। পরবর্তীতে তিনি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটিকে যেসব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে হয়রানির তদন্ত করা সম্ভব সেরকম একটি তালিকাও পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক এ ইয়াহু কর্মী।
ইয়াহুতে যোগ দেওয়ার আগে এওএল এবং মাইক্রোসফটে কাজ করতেন শি। বর্তমান মানসিক অবস্থার কারণে তিনি এখন কম্পিউটারেও কাজ পারেন না বলেই দাবী করেছেন শি। এ ছাড়াও মানসিক অবস্থার উন্নতির জন্য তিনি ডাক্তারের সাহায্য নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
পাল্টা এক মামলায় অভিযুক্ত নারী জ্যাং জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা প্রতিটি অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অমানবিক। অন্যদিকে ইয়াহু তাদের নির্বাহীদের রক্ষার্থে এক বিবৃতি ইস্যু করেছে এবং জ্যাংকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে সবলে লড়ার কথা দিয়েছে বলেই জানিয়েছে সিএনএন।