জিএস৫-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই দুর্বলতা উদঘাটন করেছে বার্লিনভিত্তিক সিকিউরিটি রিসার্চ ল্যাব (এসআরএল)। আর এই ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত আছে স্যামসাং।
বার্তাসংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে সংগ্রহ করা আঙুলের ছাপ থেকে আঠা আর গ্রাফিক স্প্রে দিয়ে তৈরি ছাঁচ দিয়ে জিএস৫-এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরকে আনলক করতে সক্ষম হন এসআরএলের গবেষকরা।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চোর স্মার্টফোনের পেপাল অ্যাপ থেকে মালিকের সব অর্থ সরিয়ে ফেলতে পারবে বলে আশংকা করছেন এসআরএলের গবেষকরা।
তবে এসআরএলের এই আবিষ্কার নিয়ে পেপাল কর্তৃপক্ষ খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না বললেই চলে।
“আমরা এসআরএলের আবিষ্কার মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। তারপরও আমরা মনে করি সহজ এবং নিরাপদ লেনদেন অনেকাংশে নিশ্চিত করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অথেনটিকেশন।” এমনটাই বলা হয়েছে পেপালের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে।
অন্যদিকে নিরবতা বজায় রেখে চলেছে স্যামসাং। জিএস৫ বাজারজাত করার সময় স্মার্টফোনটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এখন স্মার্টফোনটি বাজার আসতে না আসতেই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এর দুর্বলতা খুঁজে বের করে ফেলায় ব্রিবতকর অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে স্যামসাংয়ের জন্য। এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি করা থেকে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্রও বিরত থেকেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।