প্রযুক্তি সংবাদবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রেডিও ওয়েভের মতো আলোও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ, যার কম্পাঙ্ক ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় এক লাখ গুণ বেশি। বছর দুই আগে প্রথমবারের মতো লাই-ফাই প্রযুক্তির কথা বলেন বিজ্ঞানীরা। দুই বছরে অনেকটাই এগিয়েছে এই প্রযুক্তি।
এ প্রযুক্তিতে প্রথমে ডেটা ট্রান্সফার করা হয় একটি এলইডি বাল্বের সাহায্যে। বাল্বটি সেকেন্ডে কয়েক কোটি বার জ্বলে-নেভে, তার মাধ্যমেই সংকেত ট্রান্সফার করে (সাধারণ ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব প্রতি সেকেন্ডে ১০ হাজার থেকে ৪০ হাজার বার জ্বলে নেভে, যা খালি চোখে বোঝা যায় না)। এরপর কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের রিসিভার সে আলোর ডেটা রিসিভ করার পর ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে।
লাই-ফাই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে, কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের রিসিভারটি থাকতে হবে ডেট্রা ট্রান্সফার করা এলইডি বাল্ববের আলোর সীমানার মধ্যে। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে গেলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে লাই-ফাই সংযোগ। তবে এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারলে পাল্টে যেতে পারে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহারের ইতিহাস।