২০১৩ সালে এই সেবা চালু করে মার্কিন ওয়েব জায়ান্ট গুগল অধীনস্থ ইউটিউব। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কনটেন্টের জন্য মূল্য নিতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ইউটিউব-এর পেইড চ্যানেল সেবার মাধ্যমে গ্রাহককে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ও সিসেমি স্ট্রিট -এর মতো ভিন্ন চ্যানেলগুলোর কনটেন্ট দেখতে মূল্য দিতে হতো। কিন্তু জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে ইউটিউব।
এক ব্লগ পোস্টে গুগল স্বীকার করে যে, “এটি কখনোই নির্মাতা বা গ্রাহকের কাছে জনপ্রিয়তা পায়নি।”
যেসব ভিডিও নির্মাতা শুধু পেইড সাবস্ক্রিপশন চ্যানেলে তাদের ভিডিও রেখে থাকে ডিসেম্বরে তাদের ভিডিও হয় সরিয়ে ফেলতে হবে বা বিনামূল্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে ইউটিউব রেড সেবায় কোনো প্রভাব পড়বে না। ওয়েবসাইটটির নিজস্ব সাবস্ক্রিপশন সেবা হলো ইউটিউব রেড। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ছাড়া এক্সক্লুসিভ প্রোগ্রামগুলো প্রচার করে তারা। বর্তমানে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সেবা চালু রয়েছে।
ভিডিও নির্মাতাদের আয়ে সহায়তা করতে আরও বেশি কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে পৃষ্ঠপোষকতা সেবা চালু করার কথা জানিয়েছে ইউটিউব।
এর মাধ্যমে ইউটিউব দর্শকরা তাদের পছন্দের ইউটিউব স্টারকে স্বেচ্ছায় মাসে ৪.৯৯ মার্কিন ডলার মাসিক মূল্য দিতে পারবেন। এর পরিবর্তে পরিবর্তিত ইমোজি’র মতো ফিচার পাবেন তারা।
পেইড সেবা বন্ধের ব্যাপারে এনডারস-এর বিশ্লেষক জোসেফ ইভানস বলেন, “তারা যেমনটা চেয়েছিল তারা সেটি পায়নি।”