আপাতত শুধু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য ফিচারটি পরীক্ষা করছে সোশাল নেটওয়ার্ক জায়ান্টটি। এই ফিচার দিয়ে ইউটিউব, টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াশ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অল্প সংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহক দিয়ে ফিচারটির পরীক্ষা চালাচ্ছে ফেইসবুক। এই ফিচারে গ্রাহকের ফোন ওয়াই-ফাই-এর সঙ্গে যুক্ত হলেই বেশ কিছু ফেইসবুক ভিডিও ডাউনলোড হতে থাকবে। ফলে গ্রাহক অ্যাপটি চালু করলেই তা তাৎক্ষণিকভাবে প্লে হবে।
ফেইসবুকের ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকলস’-এর মতোই কাজ করবে ‘ইনস্ট্যান্ট ভিডিও’। এটি মোবাইল ওয়েবসাইটের চেয়ে দ্রুত লোড হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে ভিডিও’র জন্য বড় একটি কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে শতকোটি ডলার বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে ফেইসবুক।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি তাদের প্লাটফর্মে মূল টেলিভিশন কনটেন্ট আনতে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ফেইসবুকের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের অর্থের পরিমাণ বাড়তেও পারে, বলা হয়েছে ব্যবসায়-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদনে।
এই খাতে ফেইসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান নেটফ্লিক্স যা বিনিয়োগ করেছে তার চাইতে ফেইসবুকের অংকটা কম। ২০১৭ সালে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্স ছয়শ’ কোটি ডলার ও অ্যামাজন সাড়ে চারশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল।
ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে নিজেদের কৌশল উন্নত করেছে ফেইসবুক। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহারকারীদের জন্য ‘ওয়াচ’ নামে নতুন পপ আপ ট্যাব চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভিডিও নির্মাতা ও প্রকাশকদের জন্য নতুন করে সাজানো নিজেদের ভিডিও প্লাটফর্মে অর্থ পরিশোধিত অনুষ্ঠান চালুর পর এই ট্যাব আনা হয়।