এই টাইম-ল্যাপস প্রযুক্তি ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় ক্রোমোসোম-এর অস্বাভাবিক আচরণ শণাক্ত করতে পারে, বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস।
এ প্রযুক্তিতে ভ্রূণ সৃষ্টির সময় থেকে জরায়ুতে ইমপ্ল্যান্ট হওয়া পর্যন্ত হাজারো ডিজিটাল ছবির মাধ্যমে তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে ডাক্তাররা সবল ভ্রূণ চিহ্নিত করতে পারেন। ফলে গর্ভপাতের ভয় কমে যায়।
পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই এই প্রযুক্তি জনপ্রিয়। এবার দিল্লিতে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি আনা হয়েছে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেসব ভ্রূণের ক্রোমোসোম সংখ্যা অস্বাভাবিক সেগুলো শণাক্ত করতে পারেন ডাক্তাররা। আগে থেকেই শণাক্ত করার কারণে ইমপ্ল্যান্টের সময় ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
ইন্দিরা আইভিএফ হসপিটাল-এর আইভিএফ বিশেষজ্ঞ আরভিন্দ ভেইদ বলেন, “আইভিএফ চক্র ব্যর্থ হওয়ার মূল কারণগুলোর একটি হলো অস্বাভাবিক ক্রোমোসোম সংখ্যা। এর ফলে হয় গর্ভে ইমপ্ল্যান্ট ব্যর্থ হয় বা গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে গর্ভপাত হয় বা বাচ্চা জীনগত সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয়।”
একটি সবল মানব ভ্রূণে ২৩ জোড়া ক্রোমোসোম থাকে। এই সংখ্যায় পরিবর্তন হলে সফল ইমপ্ল্যান্টের সম্ভাবনা কমে যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এই প্রযুক্তিতে কম্পিউটার অ্যালগোরিদম সবেচেয়ে ভালো ভ্রূণটি বাছাই করতে সহায়তা করে। ফলে বাচ্চার সুস্থ গঠনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।