হেলিও এস১০ নিয়ে যত কথা

চলতি বছর জুনে হেলিও এস১০ নামে নতুন নামের স্মার্টফোন বাজারে আনে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এডিসন গ্রুপ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2017, 12:40 PM
Updated : 28 August 2017, 12:40 PM

হোম বাটন খেয়াল না করে সামনের দিক থেকে দেখলে একে প্লাস সাইজের কোনো আইফোন ভেবেও ভুল হতে পারে। সামনের চেহারায় প্লাস সাইজের আইফোনের সঙ্গে মোটাদাগের পার্থক্যটা শুধু হোম বাটনে।  

অ্যান্ড্রয়েড নুগাট ৭.০ অপারেটিং সিস্টেমচালিত ৫.৫ ইঞ্চি এফএইচডি ডিসপ্লে’র এই স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৫ডি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩। এতে রয়েছে ১.৯৫ গিগাহার্টজ ৬৪-বিট অক্টা কোর প্রসেসর। স্ক্রিন ৫.৫ ইঞ্চি হলেও, এর বেজেল-এর আকার ছোটই রাখা হয়েছে। এর ফলে একই সাইজের স্ক্রিনের অন্যান্য স্মার্টফোনের তুলনায় দেখতে কিছুটা ছোটই লাগে। আকার ছোট হওয়ায় ফোনটি ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়, বিশেষ করে ছোট থাবার হাতের ব্যবহারকারীদের জন্য এটি যে সুবিধার তা বলতেই হচ্ছে। 

এই স্মার্টফোনে রয়েছে ফ্ল্যাশ ল্যাম্পযুক্ত ১৬ মেগাপিক্সেল সামনের ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশযুক্ত ১৩ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা। ক্যামেরায় থাকা বিশেষ ফিচারগুলো হচ্ছে- এইচডিআর, ফেইস বিউটি, প্যানারোমা, প্রফেশনাল মোড, স্লো মোশন, টেক্সট রিকগনিশন, জিফ, স্মার্ট স্ক্যান, কার্ড স্ক্যানার, টাইম ল্যাপস, স্মার্ট সিন ও মুড ফোটো। সামনের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার সময় লালচে টোন কিছুটা বেশি পাওয়া যায়। লালচে টোন থাকলে সেলফিতে ত্বকের রঙ বেশি স্বাভাবিক আসে। সেদিক থেকে দেখলে ইচ্ছা করেই এই ফিচার রাখা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, আবার সফটওয়্যার বা ক্যামেরায় অনিচ্ছাকৃত কোনো ত্রুটিও হতে পারে। তব, ত্রুটি বা ইচ্ছাকৃত যাইহোক না কেন এর কারণে সেলফি ভালোই আসে। 

এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪জিবি র‍্যাম ও ৩২ জিবি রম। এর স্টোরেজ ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়ানোর সুবিধা রাখা হয়েছে। এই স্মার্টফোনে রাখা হয়েছে দুটি সিম স্লট- একটি মাইক্রো সিম-এর আর অন্যটি ন্যানো সিম-এর। কেউ চাইলে ডুয়াল সিম ব্যবহার করতে পারবেন অথবা ইচ্ছা হলে মাইক্রো সিম-এর স্লটে একটি মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।    

ছবি- হেলিও এস১০

৪০১০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারির সঙ্গে স্মার্টফোনটিতে রাখা হয়েছে ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি। এই স্মার্টফোনের সঙ্গেই দেওয়া চার্জার দিয়ে চার্জ সত্যিই দ্রুত হয়। আর চার্জ কতক্ষণ থাকে? একজন সাধারণ ব্যবহারকারীর চেয়ে একজন সাংবাদিকের হাতে স্মার্টফোনের ব্যবহার একটু বেশিই হয়ে থাকে। তারপরও এই স্মার্টফোনের চার্জ সন্তোষজনক সময় ধরে ছিল তা বলতেই হচ্ছে।  

ফোনের কেসিং খোলা বা ব্যাটারি বদলের কোনো সুযোগ না রাখার রীতিটা সর্বপ্রথম চালু করে অ্যাপল। বর্তমানে শিয়াওমি, অপ্পো, হুয়াওয়েসহ বিভিন্ন স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্মার্টফোনে এই বিষয়টি অনুসরণ করছে, একই স্রোতে ভাসছে হেলিও’র এই স্মার্টফোনটিও। এ ধরনের স্মার্টফোনগুলোতে একটি সমস্যা হচ্ছে ফোন ভিজে গেলে বা অন্য কোনো কারণে ব্যাটারি খুলতে চাইলে ঝামেলায়ই পড়তে হয়। অ্যালুমিনিয়ামের কেসিং ধরতে অনেক সময় পিচ্ছিল মনে হয়। এই স্মার্টফোনের বক্সে একটি সিলিকন কভার দেওয়া আছে, যা ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিকিউরিটি আর স্মার্ট রিমোট কনট্রোলের মতো ফিচারও রয়েছে। এর স্প্লিট স্ক্রিন ফিচারের কারণে স্ক্রিনে একই সঙ্গে দুটি ট্যাবের কাজ চালানো যাবে।

ম্যাট ব্ল্যাক ও গোল্ড- এই দুই রংয়ে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। এর দাম রাখা হয়েছে ১৯,৯৯০ টাকা।