ছোট এক ঝাঁক স্বচালিত লরি (প্লাটুনিং) পরীক্ষার জন্য ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ ল্যাবরেটরি’র (টিআরএল) সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ তিনটি পর্যন্ত লরি একসঙ্গে চালানো হবে। লরিগুলোর মধ্যে প্রথমটি থেকে বাকিগুলোর গতি ও ব্রেক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
প্রথমে পরীক্ষামূলক রাস্তায় লরিগুলোর পরীক্ষা শুরু হবে। আর ২০১৮ সালের শেষ দিকে এগুলো মূল সড়কে নেওয়ার আশা করা হচ্ছে।
লরিগুলোর প্রথমটি মানব চালক নিয়ন্ত্রণ করবেন। পেছনের গুলোতেও স্টিয়ারিংয়ের জন্য চালক রাখা হবে কিন্তু গতি পরিবর্তন ও ব্রেক প্রথম লরি থেকে করা হবে। লরিগুলো খুব কাছাকাছি চলবে বলে সামনের লরি বায়ু কেটে পেছনের লরিগুলোর জন্য চাপ কমাবে। ফলে অন্য লরিগুলো বেশি জ্বালানী সাশ্রয়ী হবে ও কার্বন নির্গমন কম হবে।
পরিবহন মন্ত্রী পল মেইনার্ড বলেন, “এটি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তি হতে পারে, যার সুবিধা হয়তো গ্রাহক পাবেন।”
২০১৪ সাল থেকেই এ ধরনের পরীক্ষা চালানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য। আগের বছরও এমন উদ্যোগ নেওয়া হলে পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান লরি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাতে রাজি হয়নি।
এবার নতুন চুক্তিতে আশাবাদী দেশটি। এই প্রকল্পের জন্য লরি নির্মাতা ডাচ প্রতিষ্ঠান ডিএএফ ট্রাকস, ব্রিটিশ স্মার্ট টেক ট্রান্সপোর্ট প্রতিষ্ঠান রিকার্ডো ও জার্মান লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল-এর সঙ্গে চুক্তি করেছে টিআরএল।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপান-সহ বেশ কয়েকটি দেশে পরীক্ষা চালানো হবে।
তবে ব্রিটিশ রাস্তায় পরীক্ষা চালানোয় একটি অনন্য বাধা রয়েছে বলে মনে করেন অটোমোবিল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট এডমুন্ড কিং।
“আমরা সবাই জালানী সাশ্রয় করতে চাই এবং জ্যাম কমাতে চাই কিন্তু আমরা আশ্বস্ত নই যে, যুক্তরাজ্যের রাস্তায় লরি প্লাটুনিং এর একটি উপায়,” বলেন কিং।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ছোট এক ঝাঁক লরি অন্যান্য সড়ক ব্যবহারকারীর জন্য রাস্তার দিক চিহ্ন ব্লক করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “অনেক বেশি বের হওয়া ও ভেতরে আসার পথসহ আমাদের ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক রয়েছে। অ্যারিজোনা বা নেভাডা’র মতো মরুভূমির মতো ফাঁকা রাস্তাগুলোতে প্লাটুনিং কাজ করতে পারে, কিন্তু এটি আমেরিকা নয়।”
তবে, পরিবহন মন্ত্রী মনে করেন প্লাটুনিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানী খরচ, নির্গমন ও জ্যাম কমতে পারে।