আইএএনএস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর দিল্লির রোহিনি’র এই কারখানায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত ক্লাস্টার, বালু, কংক্রিট, ইট, টাইলস-এর মতো পণ্য উৎপাদন করা হবে।
দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “নির্মাণকাজে সৃষ্ট বর্জ্য সাধারণত আগে থেকে ঠিক করে রাখা স্থানে জমা করা হয় আর তা সরকার অনুমোদিত। ওই বর্জ্য কাজে লাগানোর জন্য নতুন এই কারখানা বানানো হয়েছে।”
আইএলঅ্যান্ডএফএস এনভায়রেনমেন্ট নামের সংস্থার ব্যবস্থাপনায় থাকা এই কারখানা প্রতিদিন ১৫০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম। সংস্থাটি বলে, ‘সিক্ত প্রযুক্তির’ ব্যবহার যোগ করার মাধ্যমে এই উপাদানগুলো প্রক্রিয়াজাতের সময় ধূলা ও শব্দ দূষণ রোধ করা হবে।
ভবন নির্মাণ কাজে সৃষ্ট বিভিন্ন বর্জ্যের প্রায় ৯৫ শতাংশকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে এই কারখানা বানানো হয়েছে।
চলতি বছর জুলাইয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় যে বর্জ্য হয় তা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কেরাণীগঞ্জে একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, রাজধানীতে প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদিত হয়, তার অর্ধেক দিয়ে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রীর মতে, “ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই বর্জ্যের মাত্র অর্ধেক (তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন) বর্জ্য স্তূপীকরণ এলাকা বা ডাম্পিং সাইটে পাওয়া যায়।”
“এই পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব।”