সোমবার মার্কিন জেলা বিচারক উইলিয়াম কোনলে আগের ২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সঙ্গে আরও ২৭ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার যোগ করেছেন। ইউনিভার্সিটির একটি পেটেন্ট ভঙ্গ করায় তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য মার্কিন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটিকে এই মূল্য পরিশোধের আদেশ দিয়েছে আদালত, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
২০১৫ সালের অক্টোবরে উইন্সকনসিন অ্যালামনাই রিসার্চ ফাউন্ডেশন অ্যাপলের বিরুদ্ধে এ মামলায় জয়ী হয়। ইউনিভার্সিটির পেটেন্ট বেআইনীভাবে ব্যবহার করতে থাকায় ক্ষতিপূরণ ও লাভসহ অ্যাপলকে ২৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করে জুরি। এবার ওই জরিমানা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ডলারে।
কোনলে’র এই রায়ে পুনরায় আপিল করার কথা রয়েছে অ্যাপলের। এ বিষয়ে জানতে অ্যাপলের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০১৪ সালে অ্যাপলের বিরুদ্ধে পেটেন্ট লঙ্ঘণের এ মামলা করে উইসকনসিন অ্যালামনাই রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ডাব্লিউএআরএফ)। অ্যাপলের কিছু আইফোনে ‘প্রেডিকটর সার্কিট’ ব্যবহার করা হয়েছে যা প্রসেসরের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই সার্কিটের পেটেন্ট করা ছিল ডাব্লিউএআরএফ-এর।
২০১৫ সালের জুরি বিচার চলাকালে অ্যাপল পেটেন্ট লঙ্ঘণের বিষয়টি অস্বীকার করে। তাদের দাবি এই পেটেন্ট সঠিক নয়। মার্কিন পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসকে পেটেন্ট রিভিউ করার আবেদনও করে অ্যাপল। কিন্তু সে সময় তাদের দাবি নাকচ করা হয়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালে অন্য আইফোনে আবারও ওই চিপ ব্যবহার করায় পুনরায় একই পেটেন্ট ভঙ্গের মামলা করে ডাব্লিউএআরএফ।