মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি-কে থ্রি স্কয়ার মার্কেট নামের প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টড ওয়েস্টবি বলেন, এটিই যুক্তরাষ্ট্রে এই ডিভাইস ব্যবহারে প্রথম প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে এই ডিভাইস যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর কাছ থেকে অনুমোদন পায়।
ওয়েস্টবি বলেন, “আমরা মনে করি সাম্প্রতিক সময়ে চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে যেমন করা হচ্ছে ঠিক তেমনি উন্নত উদ্ভাবন আনতে এটিই সঠিক সময়।”
মাইক্রো-মার্কেট প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীর হাতে এই চিপ বসানোর আশা করছে। ওয়েস্টবি বলেন, তার ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতেও এই চিপ বসানো হবে।
প্রতিটি চিপ বসাতে খরচ হয় তিনশ’ ডলার। একটি সুই দিয়ে বুড়ো আঙ্গুল আর তর্জনীর মাঝখানে এটি বসানো হয়। এতে “একদমই ব্যাথা হয় না”, মন্তব্য ওয়েস্টবি’র।
এক্ষেত্রে কোনো কর্মী ভুলে ব্যাজ বা ক্রেডিট কার্ড আনতে ভুলে গেলে যে ঝামেলায় পড়েন তা দূর হবে। একবার কোনো কর্মীর হাতে এই চিপ ইনস্টল করা হলে তিনি তা দিয়ে ব্রেক রুম থেকে খাবার কিনতে পারবেন, দরজা খুলতে পারবেন ও কম্পিউটার চালু করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে কর্মীদের নজরদারির মধ্যে পড়ার শংকাও থাকবে না বলে মত দিয়েছেন ওয়েস্টবি। তিনি বলেন, “আপনার সেলফোন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন তা শনাক্ত করা সম্ভব, কিন্তু এই ডিভাইস শুধু আপনি যদি রিডার-এর ছয় ইঞ্চি কাছে আসেন তাহলেই শনাক্ত করা যাবে।”
এই ডিভাইস হ্যাকড হওয়ার ঝুঁকি ‘শূন্য থেকে একদমই নেই” বলেই মন্তব্য তার। তিনি বলেন, “এটি খুবই নিরাপদ ও সুরক্ষিত ডিভাইস।”
থ্রি স্কয়ার মার্কেটস-এর অংশীদার প্রতিষ্ঠান সুইডেন-এর বায়োহ্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে প্রায় দেড়শ’ কর্মীর হাতে এটি ব্যবহার শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।