এআই নিয়ে জাকারবার্গ-এর জ্ঞান সীমিত: মাস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে ইলন মাস্ক আর মার্ক জাকারবার্গ-এর অবস্থান বরাবরই বিপরীতমুখী। এবার এই বিষয়ে সরাসরি নিজেরাই তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই শীর্ষ প্রযুক্তিনেতা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 11:35 AM
Updated : 25 July 2017, 11:35 AM

এ নিয়ে টেসলা প্রধান মাস্ক-এর অবস্থানকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ফেইসবুক প্রধান জাকারবার্গ। জবাবে ‘এ খাতে জাকারবার্গের জ্ঞানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মাস্ক, খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র।

বরাবরই এআই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন মাস্ক। চলতি মাসের শুরুতে তিনি বলেন, এআই-এর কারণে চাকরি ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে আর রোবট “সবকিছু আমাদের চেয়ে ভালোভাবে করতে সক্ষম হবে।” এই বিপর্যয় থেকে মানুষকে রক্ষা করতে মৌলিক বেতনের একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা প্রণয়নেরও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। ‘মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই একটি মৌলিক ঝুঁকি’- এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।

মার্কিন প্রকৌশলী ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণার প্রবর্তক হিসেবে খ্যাত মাস্ক-এর এমন শঙ্কা নিয়ে রোববার প্রশ্নের মুখোমুখি হন জাকারবার্গ।  তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে ফেইসবুক লাইভে এসেছিলেন। সে সময় এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী তাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। মাস্ক-এর শংকার সঙ্গে অসম্মতি প্রকাশ করে জাকারবার্গ বলেন, “এ নিয়ে আমার শক্ত মতামত রয়েছে। আমি আশাবাদী। আমি মনে করি আপনি অনেক কিছু তৈরি করতে পারবেন ও বিশ্ব আরও উন্নত হবে। কিন্তু বিশেষত এআই নিয়ে, আমি আসলেই আশাবাদী।”

“আর আমি মনে করি যারা না বলছেন আর মহাপ্রলয়ের দৃশ্য সাজাচ্ছেন-- আমি আসলেই এটি বুঝি না। এটি আসলেই নেতিবাচক আর কিছু দিক থেকে আমি মনে করি এটি দায়িত্বহীন।”

“সামনের ১০ বছরে, এআই আমাদের জীবনযাত্রার মানে অনেক বেশি উন্নতি আনতে যাচ্ছে।”

টুইটারের এক ব্যবহারকারী জাকারবার্গের এই মন্তব্যগুলো নিয়ে করা একটি প্রতিবেদন পোস্ট করেন। ওই টুইটে জবাব দেন মাস্ক। তিনি বলেন, তিনি ইতোমধ্যে জাকারবার্গের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম প্রধানের “এ খাতে বোঝার ক্ষমতা সীমিত”।

আরেক টুইটার ব্যবহারকারী এ নিয়ে মাস্ক-এর একটি ব্লগ পোস্ট লেখা উচিৎ বলে মত দেন। তখন মাস্ক নতুন সিনেমার প্রচারণার ভাষায় কৌতুক করে বলেন, “শীঘ্রই আসছে”- উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রযুক্তিখাতের এই দুই শীর্ষ ব্যক্তির মধ্যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই। কিন্তু তাদের মধ্যকার এই বাকযুদ্ধের মাধ্যমে এআই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রযুক্তি সম্প্রদায়ের বিতর্কের মাত্রা প্রতিফলিত হয়। 

ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এআই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকা প্রকাশকারীদের দলেই রয়েছেন।