এক বিবৃতিতে স্যামসাং বলে, তারা ক্যামেরা মডিউল আর ডিসপ্লে’র মতো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপাদানগুলো মেরামত বা বিক্রির জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সেই সঙ্গে তারা কোবাল্ট, কপার, সোনা আর রুপার মতো ধাতব পদার্থগুলোও সংগ্রহ করবে কিন্তু এগুলো পুনরায় ব্যবহারের জন্য নয়।
২০১৬ সালে নোট ৭ ব্যর্থতার কারণে ৫৪০ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রিমিয়ার ডিভাইস বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ধাক্কা সামলাতে চেষ্টা করছে তারা, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে, চলতি বছর এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির আনা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস৮-এর বিক্রি ভালোই হয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এই বিক্রি প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
বাজারে আনার প্রায় দুই মাস পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত ভাবে নোট ৭ ফেরত নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০.৬ লাখ হ্যান্ডসেট বিক্রি করেছিল।
গ্রিনপিস-এর মতো পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো স্যামসাংকে ডিভাইসগুলোতে থাকা দুর্লভ উপাদানগুলো পুনরায় ব্যবহার বা পুনরুদ্ধারের জন্য আহ্বান জানায়।
ইতোমধ্যে স্বদেশীয় বাজারে পুনরায় ব্যবহার চেষ্টার অংশ হিসেবে নোট ৭-এর একটি বিশেষায়িত সংস্করণ উন্মোচন করেছেন স্যামসাং।