যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হাইপারলুপ ওয়ান এই প্রযুক্তি বানাতে কাজ করছে। সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটির নেভাডায় এ নিয়ে একটি পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মার্সি সিমন। এই পরীক্ষায় কয়েকটি ট্র্যাকে ২৮ ফুট দীর্ঘ পড পাঠানো হবে।
মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক সর্বপ্রথম হাইপারলুপ ধারণা প্রবর্তন করেন। ২০১৩ সালে তিনি লস অ্যাঞ্জেলস থেকে স্যান ফ্রানসিসকো-তে বায়ুশূন্য নলের মাধ্যমে যাত্রীসহ পড পাঠানোর ধারণা দেন। তার এই ধারণা বাস্তবায়নে কাজ করছে হাইপারলুপ ওয়ান। সামনের পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ঘণ্টায় আড়াইশ’ মাইল বা চারশ’ দুই কিলোমিটার গতি উঠানো, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
এর আগে চলতি বছর ১২ মে একটি পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে তারা। এই পরীক্ষায় পডটি বায়ুশূন্য নলটির মধ্যে ভেসে উঠে, ৫.৩ সেকেন্ড সময় ধরে এটি ভেসে ছিল। এ সময় ঘণ্টায় ৭০ মাইল গতিবেগ পাওয়া যায় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ গতি লাভের আশায় নল ছাড়া খোলা জায়গায় এমন একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল।
এই প্রকল্পের পরিচালকরা পডের গতিবেগ ঘণ্টায় সাড়ে সাতশ’ মাইল উঠানোর আশা করছেন। কিন্তু বাস্তব দুনিয়ায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা, এ ক্ষেত্রে নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া থেকে শুরু করে এমন গতিতে বাঁক খাওয়ানোর মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ইতোমধ্যে হাইপারলুপ ওয়ান ১৬ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান শারভিন পিসহেভার এক বিবৃতিতে বলেন, “হাইপারলুপ ওয়ান মানুষ ও মালামাল বিশ্বের অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা দেবে।”