প্রতিবছর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজন এ বছর চলবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ইভেন্টে অংশ নিয়ে বড় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প তুলে ধরতে পারবেন প্রতিযোগীরা। সেখান থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকল্প পছন্দ হলে মিলতে পারে অর্থায়ন।
এম-ল্যাব, স্ল্যাশ এবং ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১৫ অগাস্ট ঢাকায় শুরু হচ্ছে ‘স্ল্যাশ ২০১৭ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এএক্সিলারেটর’ শীর্ষক ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা। বৈশ্বিক এই আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছে এমসিসি লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম-ল্যাব। এই আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে কারিগরী সহায়তা দেবে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম হোয়াইট বোর্ড।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ লক্ষ্যে ৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে অনলাইন নিবন্ধন, যা চলবে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই শেষে ৫ অগাস্ট স্ল্যাশ-জিআইএ পিচিং কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত হবে এবং ১২ অগাস্ট সেখানে শীর্ষ ১০ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। অনুষ্ঠান থেকে প্রযুক্তি বোদ্ধা জুরিবোর্ড সদস্যরা ১৫ অগাস্ট স্ল্যাশ গ্লোবাল ইভেন্টে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সেরা প্রকল্প বাছাই করবেন। চূড়ান্ত একজন বিজয়ী হেলসিংকিতে গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। হেলসিংকিতে তাদের ইভেন্টে অংশগ্রহণের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে এম-ল্যাব।
এম ল্যাব জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলো আকর্ষণীয় পুরষ্কারের পাশাপাশি ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রযুক্তি প্লাটফর্মে নিজেদের উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।
এই আয়োজন সম্পর্কে হেড অফ স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর এলিনা টার্ককোনেন বলেন, “আমরা স্ল্যাশ গ্লোবাল ইমপ্যাক্ট এক্সিলারেটর-২০১৭ ইভেন্টে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো অর্ন্তভূক্ত করতে পেরে আনন্দিত।”
“এই অঞ্চলের স্টার্টআপ প্রযুক্তিগুলো বৈশ্বিক পর্যায়ে গিয়ে সমগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিজেদের তুলে ধরতে পারবে, পারস্পারিক মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া বিশ্বের বড় বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থায়নও পেতে পারেন।”