নিজের ‘আলাদা শহর’ বানাবে ফেইসবুক

ফেইসবুকের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের প্রচুর সময় খরচ করছেন এমন মানুষ শত কোটি। এবার ফেইসবুক বাস্তব দুনিয়ায়ও সম্প্রদায় তৈরির চেষ্টায় নেমেছে বলে খবর বেরিয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2017, 09:14 AM
Updated : 8 July 2017, 09:14 AM

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে বাসস্থান, খুচরা বিক্রির দোকান, একটি হোটেল ও নিজেদের করপোরেট প্রধান কার্যালয়গুলো এক সঙ্গে স্থাপন করতে চায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটি। এক কথায় ফেইসবুক নিজের পুরো আলাদা একটি শহর বানাতে চায়, এমনটাই বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্ক-এ নতুন এই বিশাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা উন্মোচন করে ফেইসবুক। ২০১৫ সালে এখানে ফেইসবুক ৪০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ৫৬ একর জমি কেনে। এটি ফেইসবুকের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন রাস্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এতে ১৬ লাখ বর্গফুটে ১৫০০ ইউনিট বাসস্থানের সুবিধা দেওয়া হবে।

এই পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে এক ব্লগ পোস্টে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পকে ‘মিক্সড-ইউজ ভিলেজ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এতে বাসস্থানের সুবিধা দেওয়া হবে, আর অধিকাংশতেই ফেইসবুক কর্মীরা থাকবেন। সেই সঙ্গে এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থাও থাকবে।

“আমরা ১২৫০০০ বর্গফুটের নতুন খুচরা দোকান বানানোর পরিকল্পনা করছি, এর সঙ্গে একটি মুদি দোকান, ফার্মেসি, ও অন্যান্য সম্প্রদায়মুখী দোকান থাকবে।”

নতুন এই প্রকল্পে একটি হোটেলও থাকবে বলে জানিয়েছে সিলিকন ভ্যালি বিজনেস জার্নাল। এটি বানাতে প্রায় এক দশক লেগে যাবে, এই পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি এই তথ্য প্রকাশ করেন।

এই প্রকল্পের প্রাথমিক ধাপে বাসস্থান ও মুদি দোকান স্থাপন করা হবে, যা ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তারপর প্রতিটি ধাপ প্রতি দুই বছরে শেষ করা হবে, বলা হয়েছে ফেইসবুক ওয়েবসাইটের এক ব্লগপোস্টে।

অধিকাংশ বাসস্থান ফেইসবুক কর্মীদের জন্য দেওয়া হলেও, ফেইসবুক এই সেবা আরও বড় পরিসরেও দিতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে বাজারের প্রচলিত দাম ও সহজলভ্য বাসস্থান ইউনিটের মিশ্রণ রাখা হবে। এখানে ১৫ শতাংশ বা ২২৫ ইউনিট বাজারের দামের চেয়ে কম দামে দেওয়া হবে। 

কর্মীদের কার্যালয়ের এতো কাছে রাখার একটি উপকার হচ্ছে এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা কমে যাবে, উল্লেখ করা হয় ওই ব্লগ পোস্টে।

সিটি অফ মেনলো পার্ক-এ এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হলেও, তারা এখনও অনুমোদন পাননি। দুই বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া অনুমোদন পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি