বিশেষজ্ঞরা বলেন, অভিযুক্ত এই রোবটগুলো শুধু তাদের মালিকদেরই সেবা দিতে পারবে। এটি আপত্তিকর আচরণ, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও শিশু যৌনপীড়নে উৎসাহ যোগাতে পারে।
ইতোমধ্যে শিশুদের মতো দেখতে যৌন পুতুল উৎপাদন করা হয়েছে ও এক আত্মস্বীকৃত শিশু যৌনপীড়ক এটি জাপান থেকে রপ্তানি করেছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক শার্কলে। এই রোবটগুলো যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ নয়, কিন্তু এই রোবটের চালান কানাডায় জব্দ করা হয়। কানাডায় শিশুদের সেক্স টুলের মাধ্যমে তুলে ধরা কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ।
বিশেষজ্ঞরা এখন যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে এ ধরনের শিশু যৌনতার জন্য ব্যবহৃত রোবটগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন, বলা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান ট্রুকম্পানিয়ন-এর বানানো সেক্স রোবট রক্সি গোল্ড-এ এর ব্যক্তিত্ব বাছাই করে দেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। অপশন হিসেবে রাখা হয়েছে- লাজুক, গম্ভীর আর সাহসী।
অধ্যাপক শার্কলে বলেন, যৌনতায় বাধা দেবে এমন প্রোগ্রাম করে রাখা রোবটটি কার্যত একজন ধর্ষণের শিকারের ন্যায় আচরণ করে। তিনি বলেন, “কেউ বলেন একজন মানুষকে ধর্ষণের চেয়ে একটি রোবটকে ধর্ষণ ভালো, কিন্তু অন্যরা মনে করেন এটি ধর্ষণে উৎসাহ যোগায়।”
যুক্তরাজ্যে এ ধরনের সেক্স রোবট প্রবেশের আগেই সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই অধ্যাপক।
“আমি বলতেই চাই এগুলো আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিৎ”, মন্তব্য তার।