মায়ার বলেন, “আমি মনে করি না সে জানত। যখন আপনার প্রতিষ্ঠান এত দ্রুত বাড়ছে, এটি কঠিন।”
মার্কিন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের মাসব্যাপী তদন্ত কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেন কালানিক। প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি ও কর্মপরিবেশ যাচাই করতে হোল্ডারকে নিয়োগ দেয় উবার। প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মী সুজান ফাওলার যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় হোল্ডারকে তদন্তে নিয়োগ করে উবার।
প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে অবিলম্বে সরে দাঁড়ানোর জন্য কালানিককে চিঠি পাঠায় উবারের পাঁচ মূল বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, এর মধ্যে ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক রয়েছে। চিঠির শিরোনামে বলা হয়, “উবারকে সামনে এগিয়ে নিতে।” বিনিয়োগকারীরা আরও জানায়, প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন দরকার। বিষয়টি নিয়ে অন্তত একজন উবার বোর্ড সদস্য এবং বেশ কিছু বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা আলাপ করে পদত্যাগ করতে রাজি হন কালানিক। পদত্যাগ করলেও বোর্ড সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি।
পদত্যাগের বিষয়ে কালানিক বলেন, “আমি বিশ্বের অন্য সব কিছুর চেয়ে উবারকে ভালোবাসি এবং আমার ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সময়ে আমি বিনিয়োগকারীদের অনুরোধে পদত্যাগ করছি, যাতে করে বিভ্রান্তিকর একটি লড়াইয়ের বদলে উবার গঠনের দিকে ফিরে যেতে পারে।” এর আগের সপ্তাহে কর্মীদের তিনি বলেন উবারের কঠিন সময় পার করতে সময় নেবেন। এরপর ধারণা করা হয় ছুটিতে যাবেন তিনি। কিন্তু এবার চাপের মুখে পদত্যাগই করেছেন কালানিক।
অনেকদিন ধরে যৌন হয়রানি ও বৈষম্যের অভিযোগে উবার শিরোনাম হয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। কালানিক ছাড়াও আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই ঘটনার জেরে প্রতিষ্ঠান ছাড়েন।