ম্যানহাটনে ২য় ইউএস সার্কিট কোর্ট অফ আপিল-এ ৫০টি প্রতিষ্ঠান এই আপিল দাখিল করে। এর মাধ্যমে এই প্রথম ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন বড় একটি দল এলজিবিটি সম্প্রদায় এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের তৈরি করা কর্মীবৈষম্যবিষয়ক আইনের পক্ষে যুক্তি দেখালো, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, সমকামী কর্মীদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় ৪০ শতাংশের বেশি সমকামী কর্মী হয়রানি ও অন্যান্য বৈষম্যের অভিযোগ করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আইনজীবী কুইন ইমানুয়েল আর্কুহার্ট সালিভান বলেন, “নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি কৃত্রিম বাঁধা দূর করার করা ও মেধাবীদের আসার পথ পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে এলজিবিটি কর্মীদের সুরক্ষায় আমাদের সর্বজনীন আইন প্রতিটি ব্যবসায়ের জন্য আর পুরো অর্থনীতির জন্যও লাভজনক হবে।”
ডোনাল্ড জারডা নামের এক ব্যক্তির মামলা পুনরায় বিবেচনার জন্য আদালতে আপিল করেছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। জারডা একজন স্কাইডাইভিং ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করতেন। তার দাবি ছিল, তিনি এক নারী গ্রাহককে জানান তিনি সমকামী, এরপর ওই গ্রাহক অভিযোগ করলে তাকে চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই মামলা দায়েরের পর জারডা স্কাইডাইভিং দুর্ঘটনায় মারা যান।
চলতি বছর এপ্রিলে তিন বিচারকের এক প্যানেল ওই মামলা নিষ্পন্ন করে দেন। তারা বলেন, ২০০০ সালে এমন একটি মামলায় বলা হয়েছিল, সমকামী কর্মীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ‘লিঙ্গ বৈষম্যের’ আওতায় পড়ে না।
কিন্তু মে মাসে পূর্ণাঙ্গ আদালত আবারও এই মামলাটি যাচাইয়ে সম্মতি দেয়।
জারডা’র সাবেক প্রতিষ্ঠান অ্যাল্টিচুড এক্সপ্রেস-এর দাবি, কংগ্রেস ৫০ বছর আগে সমকামী কর্মীদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওই আইন বানায়নি। আর আইনের অর্থ পরিবর্তনের কোনো অধিকারও আদালতের নেই।”