ওয়ানাক্রাই ম্যালওয়্যারে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা আক্রান্ত হওয়ার এক মাস পরই এমন ঘটনা ঘটল।
দেশটির হাউস অফ কমন্স-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পার্লামেন্টের নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত করতে ন্যাশনাল সাইবার ডিফেন্স সিকিউরিটি সেন্টার-এর সঙ্গে কাজ করছে। সবগুলো অ্যাকাউন্ট আর সিস্টেম ইতোমধ্যে সুরক্ষিত হয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
আক্রান্তদের পাঠানো এক মেইলে পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, “আজ (শনিবার) সকালে আমরা আমাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাইবার হামলার চেষ্টা ও কিছু অপ্রচলিত কার্যক্রম শনাক্ত করি।”
“আমাদের দলের তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে যে হ্যাকাররা দূর্বল পাসওয়ার্ডের অ্যাকাউন্টগুলো শনাক্তে পার্লামেন্টের সব ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে একটি মজবুত ও পূর্বনির্ধারিত সাইবার হামলা চালিয়েছে।”
দেশটির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য ক্রিস রেনার্ড এক টুইটের মাধ্যমে প্রথম এই সমস্যা নজরে আনেন। ঐ টুইটে তিনি বলেন, “ওয়েস্টমিনিস্টার-এ সাইবার নিরাপত্তা হামলা, পার্লামেন্ট-এর ইমেইলগুলো দূর থেকে কাজ না করতে পারে, জরুরী বার্তা পাঠান।”
হাউস অফ কমন্স-এর এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেছেন, পার্লামেন্টের অ্যাকাউন্টগুলো অ্যাকসেসে অননুমোদিত চেষ্টা চালানো হয়েছে। সদস্য ও কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য রক্ষার ব্যবস্থা ঠিকভাবেই ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, “পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে আমরা সাময়িকভাবে নেটওয়ার্কে দূর থেকে অ্যাকসেস বন্ধ করে দিয়েছি। এর ফলে ওয়েস্টমিনিস্টার-এর বাইরে থেকে কয়েকজন এমপি ও কর্মী তাদের ইমেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করতে পারবেন না।”
লিয়াম ফক্স, যিনি মন্ত্রী ও দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর দেখভাল করেন, তিনি বলেন- এই আক্রমণ কোনো অবাক করা বিষয় নয় আর এটি দেশের সব মানুষের জন্য সাইবার হ্যাকারদের হুমকি হিসেবে দেখা উচিৎ।”
“শেষ কিছুদিনে আমরা কিছুদিনে আমরা কিছু প্রতিবেদন দেখেছি, যেখানে এমনকি মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের পাসওয়ার্ডও অনলাইনে বিক্রি হচ্ছিল।”