‘স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ’ জিতল ২০ উদ্ভাবনী প্রকল্প

তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) ‘স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ’ জিতল তরুণদের ২০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2017, 01:20 PM
Updated : 21 June 2017, 01:20 PM

বুধবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ‘ন্যাশনাল এক্সিবিশন ফর স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আয়োজনে উদ্ভাবক তরুণদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

‘স্টার্টআপ চ্যালেঞ্জ’ -এর বিজয়ী ২০টি স্টার্টআপ হল- ট্রাক চাই , মেডিটর , হ্যান্ডিমামা,  শপআপ, স্নিফার , এডভান্স ড্রাইভার এসিসট্যান্স অ্যান্ড মনিটরিং সিসটেম, ডিজিটালাইজ লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রি, গারবেজম্যান, মোবাইল ম্যানেজার ফর রিটেইল শপ, এডভান্সড ভেহিকল সিকিউরিটি সিস্টেম, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেইজড প্রাইস কম্পারিজন ইঞ্জিন, ক্যারিয়ার বট, সিএমইডি, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অব ইন্ডিজেনাসলি ডেভেলপড অ্যান্ড টেস্টেড টেলিমেডিসিন, এপবাজার, পাথ ফাইন্ডার, হিরোজ অব ৭১ :মুক্তিক্যাম্প, হ্যাসট্যাগ, অ্যাডমিশন নিঞ্জা।  

স্টার্ট আপ কালচার গড়ে তোলার জন্য ‘স্টার্ট বাংলাদেশ’ উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “২০১৫ সালে এই উদ্যোগের মাধ্যমেই আমরা জনতা টাওয়ারে শীর্ষ ৫০ স্টার্টআপকে বছরের জন্য বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছি। আজ সেখান থেকে বেশ কিছু স্টার্টআপ দাঁড়িয়ে গেছে। আমাদের তরুণদের যে সক্ষমতা, তা কিন্তু আজ সারাবিশ্বে সমাদৃত, স্বীকৃত।”

প্রতিমন্ত্রী পলক আরও জানান, তরুণ উদ্ভাবকদের উৎসাহিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আইডিয়া তথা উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে ।

এই প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপ এর আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কো-ওয়ার্কিং স্পেস, মেন্টরিং, স্টার্টআপ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও দেশের নির্মীয়মাণ ২৮টি হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্টআপদের জন্য ফ্লোরও থাকবে।

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, বিশ্ব স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই জায়গা করে নেবে।

পরে তিনি জানান, বিজয়ী স্টার্টআপরা কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ও যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের স্টার্টআপ ফ্লোরে বিনামূল্যে স্পেস পাবে। এছাড়া বিজয়ীরা আইডিয়া প্রকল্পের পরবর্তী ধাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।

তিনি বলেন, “আমাদের তরূণদের মেধা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা অসাধারণ। সহযোগিতা পেলেই তারা অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার।