এবার কানাডার নির্বাচনে সাইবার ঝুঁকি

কানাডার ২০১৯ সালের নির্বাচন হ্যাকাররা প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে দেশটির ইলেকট্রনিক গুপ্তচর সংস্থা কমিউনিকেশনস সিকিউরিটি এস্টাবলিশমেন্ট (সিএসই)। এই শঙ্কা ‘প্রবল’ বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2017, 09:07 AM
Updated : 18 June 2017, 09:08 AM

রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, কীভাবে সাইবার হুমকি মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে সামনের সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরামর্শ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছে।

সিএসই’র পক্ষ থেকে বলা হয়, কানাডীয় নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে দেশটির মধ্যে কোনো প্রচেষ্টা শনাক্ত হয়নি, কিন্তু তারা হ্যাকটিভিস্টদের চেষ্টা চালানোর ঝুঁকি দেখতে পেয়েছেন। ২০১৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে জাস্টিন ত্রুদো কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনও ‘কম-মাত্রার সাইবার হামলার হুমকি কার্যক্রমের’ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু এটি নির্বাচনের ফলাফল ক্ষতিগ্রস্থ করেনি, শুক্রবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়।

সিএসই প্রধান গ্রেটা বসেনমায়ার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “সিএসই সংসদ সদস্য ও কানাডার রাজনৈতিক দলগুলোকে সাইবারবিষয়ক পরামর্শ ও নির্দেশনা দেবে। সাইবার নিরাপত্তা একটি দলগত কাজ; কোনো একটি সংস্থা একা এটি নিয়ে আগাতে পারে না।”  

২০১৬ সালে নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর চলতি বছর মে মাসে ফ্রান্স-এর নির্বাচনে হ্যাকারদের হস্তক্ষেপ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠার পর এ নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পায় বলে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায় রাশিয়া ডোনাল ট্রাম্প-কে নির্বাচনে জেতাতে ডেমোক্রেটিক পার্টির ইমেইল হ্যাক করে ফাঁস করে দেয়। কিন্তু রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।   

সিএসই’র পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনের চেয়ে রাজনীতিবিদ, সংবাদমাধ্যম আর কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সাইবার ঝুঁকি বেশি। কানাডার কেন্দ্রীয় নির্বাচনের অধিকাংশ কার্যক্রমই কাগজে করা হয়।