৫ জুন ব্লুমবার্গ টেলিভিশন-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে কুক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকে মনযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা আসলে কোনো পণ্যের দিক থেকে বলছি না, আমরা যা করব… এটি একটি মূল প্রযুক্তি যা আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখি।”
স্বচালিত গাড়ি তৈরি খাতে কিছুটা দেরিতে এলেও, চলতি বছর এপ্রিলে অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্বয়ংক্রিয় যান পরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে ও এ খাতের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছে।
এ নিয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
সাক্ষাৎকারে এই প্রকল্প নিয়ে চালানো প্রচেষ্টাকে ‘সব এআই প্রকল্পগুলোর জননী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কুক। তিনি বলেন, “এআই নিয়ে কাজ করার জন্য এটি হয়তো সবচেয়ে কঠিন প্রকল্পগুলোর একটি।”
২০১৪ সালে ‘প্রজেক্ট টাইটান’ নামে প্রকল্প শুরু করে অ্যাপল। এ প্রকল্প নিয়ে বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের অত্যন্ত গোপন রাখা পরিকল্পনা 'প্রজেক্ট টাইটান' যে কোনো কিছুই হতে পারে, হতে পারে একটি গাড়ি, একটি উন্নত ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম বা অন্যকিছু। কিন্তু তখন পর্যন্ত অ্যাপল কার নিয়ে কোনো নিয়োগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই প্রকল্পের জন্য এক হাজারেরও বেশি প্রকৌশলী নিয়োগ দেয় অ্যাপল।
বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কুক বলেন, “কোনো ফিলিং স্টেশন বা গ্যাস স্টেশন-এ না দাঁড়ানো একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।”
শেষ পর্যন্ত অ্যাপল নিজেদের গাড়ি বানাবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে কুক-কে কিছুটা ইতস্তত করতেই দেখা যায় বলে ব্লুমবার্গ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা দেখব এটি আমাদের কোথায় নিয়ে যায়।”