মহাকাশযান গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক-এর স্বপ্নের যানবাহন ব্যবস্থা হাইপারলুপ। আগের বছর এই প্রযুক্তি তৈরি করতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্পেসএক্স। এতে বিজয়ী ডাচ দলটিই এবার পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করেছে, বলা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
দ্রুতগতির হাইপারলুপ ট্রানজিট সিস্টেম হচ্ছে ভবিষ্যতের যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি ধারণা। ২০১২ সালে ইলন মাস্ক-এর প্রস্তাব করেন। এতে একটি বায়ুশূন্য নলের ভেতর চুম্বকের সহায়তায় কিছু পড ভাসিয়ে রাখা হয়। এই ভাসমান পডগুলোর মাধ্যমে মানুষ ও মালামাল ঘণ্টায় সাড়ে সাতশ' মাইল বেগে পর্যন্ত ভ্রমণ করানো যাবে।
ডাচ দলটির বাণিজ্যিকীকরণ প্রতিষ্ঠান হার্ড গ্লোবাল মোবিলিটি-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা টিম হাউটার বলেন, “হাইপারলুপ দিয়ে মানুষ এবং কার্গো পরিবহনের স্বপ্ন ১৮৬০ সাল থেকেই দেখা হচ্ছে, তাই ধারণাটি তেমন নতুন নয়।”
“কিন্তু ইলন মাস্ক যখন স্যান ফ্রান্সিসকো এবং লস অ্যাঞ্জেলেস-এর মধ্যে এই যাতায়াত ব্যবস্থার প্রস্তাব করেন তখন এটি ব্যাপক সাড়া পায়।”
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেল্ট-এর ডাচ দলটিকে শুরু থেকে তৈরি করেছে হার্ড গ্লোবাল মোবিলিটি। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে এমআইটি-এর দলকে হারায় তারা।
টিইউ ডেল্ট, ডাচ জাতীয় রেলওয়ে এনএস এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিএএম-এর সহযোগিতায় ৩০ মিটার লম্বা টিউব তৈরি করেছে হার্ড গ্লোবাল মোবিলিটি। এবার এতে বিজয়ী দলটির নকশা করা শাটল বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
“এই কেন্দ্রে আমরা সবগুলো ব্যবস্থা পরীক্ষা করবো, যেখানে উচ্চ গতির প্রয়োজন নেই,” বলেন হাউটার।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই প্রকল্পের জন্য ৬৭৫০০০ মার্কিন ডলার তহবিল রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৯ সালের মধ্যে হাইপারলুপের উচ্চগতি পরীক্ষার লক্ষ্যে তহবিল আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে অ্যামস্টারডাম এবং প্যারিসের মধ্যে হাইপারলুপ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।