এই আইনে দেশটিতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো ডেটা নজরদারি ও স্টোরেজ বিষয়ে কঠোর নীতিমালায় পড়বে, এ তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে পাস হওয়া এই আইনে অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে অপব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে তার তথ্য মুছে দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
সোমবার বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে চীনা সংবাদ সংস্থাটি বলে, “যারা এই বিধিমালা অমান্য করবে ও ব্যাক্তিগত তথ্য লঙ্ঘন করবে তারা বড় জরিমানার সম্মুখীন হবে।”
এখন পর্যন্ত চীনা ডেটা খাতে কোনো সর্বোচ্চ ডেটা সুরক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক নেই, এই খাত শিথিল কিছু আইনের মাধ্যমে চলছে।
এদিকে, চীনের নতুন এই আইন বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে দাবি দেশটির বাইরের সমালোচকদের।
চলতি বছর মার্চে বৈদিশিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চীনের অর্থনীতিতে প্রবেশের দরজা খোলা রাখা দেশটির অব্যাহত রাখা উচিত বলে মত দেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। সে সময় চীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চীনা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম-এর এক অনুষ্ঠানে কুক বলেন, “আমি মনে করি চীনের নিজেদের উন্মুক্ত রাখা আর পারলে দরজাটা আরও প্রশস্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “বাস্তবতা হচ্ছে যেসব দেশগুলো বদ্ধ, এতে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, এটি তাদের জনগণের জন্য ভালো নয়।”