২০১২ সালে অ্যাপটি প্রথমবার চালু করা হয়। অ্যাপল আইটিউনস সাইটের একটি ‘ক্যাশড’ সংস্করণে দেখা গেছে প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছে অ্যাপটির, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
আগের সপ্তাহে অ্যাপটির গ্রাহকরা লক্ষ্য করেন তারা এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। একইসঙ্গে তাদের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবো অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইটও ব্যবহার করতে পারছিলেন না তারা। পরবর্তীতে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে পোস্ট দেন গ্রাহকরা। এতে বলা হয় রেলা ব্লক করা হয়েছে।
চ্যাটিং অ্যাপ উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে রেলা’র পক্ষ থেকে বলা হয়, “গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন আনতে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। রেলা সব সময় আপনাদের সঙ্গে ছিল। আর অনুগ্রহ করে এটি ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করুন।”
এদিকে হঠাৎ সেবা বন্ধ করায় চটেছেন অনেক রেলা গ্রাহক। ওয়েইবো-তে এক গ্রাহক বলেন, “এটি লেসবিয়ানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য।”
তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে বলা হয়নি ঠিক কী কারণে অ্যাপের সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগেও চীনে বহু প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করেছে চীন। এর মধ্যে ফেইসবুক, গুগল ও টুইটারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে বাইরের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্লক করেছে দেশটি।
পুরুষ সমকামীদেরকে অবৈধ বিবেচনা করে না চীন। ২০০১ সাল থেকেই সমকামীতাকে মানসিক বিকৃতি হিসেবে নিয়েছে দেশটির সরকার।
অনেক দেশেই ইতোমধ্যে সমলিঙ্গে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তাইওয়ানেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এশিয়ার দেশ হিসেবে তাইওয়ানেই প্রথম সমলিঙ্গে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়।
চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের পুরুষ সমকামী ডেটিং অ্যাপ জ্যাঙ্ক-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে চার বছর ধরে চলছিল অ্যাপটি।
কী কারণে রেলা বন্ধ করা হয়েছে তা জানতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সাইবার স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না’র পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।