তরুণদের জন্য কম্পিউটিং শিক্ষাকে আরও উন্নত ও প্রতিষ্ঠান দু’টির একই লক্ষ্য পূরণ করতে এমনটা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ-এর প্রতিবেদনে।
২০১১ সালে চালু হয় কোডারডোজো। ইতোমধ্যে ৬৯টি দেশে ১২৫০টি কোড ক্লাব রয়েছে তাদের। সাত থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩৫ হাজার তরুণ কোডার নিয়মিত ক্লাবগুলোতে আসছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এবার রাসবেরি পাই ফাউন্ডেশন-এর সঙ্গে এক হয়ে ২০২০ সালের মধ্যে আরও পাঁচ হাজার কোডারডোজোস আনার প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
“রাসবেরি পাই, কোড ক্লাব এবং কোডারডোজো একসঙ্গে আনায় এটি তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় কম্পিউটিং এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে,” বলেন পাই ফাউন্ডেশন প্রধান ফিলিপ কলিগান।
কোডারডোজো-কে ব্যবহারিক, আর্থিক এবং অফিসের বাইরে সমর্থন দেবে রাসবেরি পাই। একসঙ্গে হলেও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবেই কাজ করবে আয়ারল্যান্ডভিত্তিক রাসবেরি পাই। চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দেশটির নীতি নির্ধারকদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
“এক হওয়ার কারণে কোডারডোজো ব্র্যান্ড বা তত্ত্বের কিছুই বদলাচ্ছে না,” বলেন কলিগান। কোডারডোজো ফাউন্ডেশনের পরিচালক হিসেবে যোগ দেবেন তিনি।
কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয় রাসবেরি পাই ফাউন্ডেশনের জন্য। এর আগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোড ক্লাব-এর সঙ্গে একত্রিত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
সে সময় যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩১৫০টি কোড ক্লাব ছিল তাদের, যেখানে নিয়মিত উপস্থিতি ছিল ৪৪ হাজার। এছাড়া বিশ্বজুড়ে আরও এক হাজার ক্লাব ছিল তাদের। রাসবেরি পাই যোগ হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে ক্লাবের সঙ্গে বেড়ে হয়েছে ৫৯০০টি, যেখানে শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার।
এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে এখন ১০ হাজার কোড ক্লাব রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এই ক্লাবগুলোতে শিশুদের সংখ্যা এক লাখ বলে উল্লেখ করা হয়।