এবার নিউ ইয়র্কে অ্যামাজনের বইয়ের দোকান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো বইয়ের দোকান উন্মোচন করেছে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2017, 01:29 PM
Updated : 26 May 2017, 01:29 PM

দেখতে প্রথাগত বইয়ের দোকানের মতো হলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে একে জটিল বলা হয়েছে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে।

যেসব ক্রেতা ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে তেমন অভ্যস্ত নন তাদেরকে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে দোকানটিতে। ম্যানহাটন-এর টাইম ওয়ার্নার সেন্টারের দোকানটিতে আপাতত তিন হাজার বিভিন্ন বই রয়েছে।

বইয়ের দোকান হলেও ক্রেতারা যাতে অ্যামাজন-এর কিন্ডল এবং ইকো-এর মতো ডিভাইসগুলো চালিয়ে দেখতে পারেন এবং সেগুলো কিনতে পারেন সেজন্য এই ডিভাইসগুলোও রাখা হয়েছে দোকানটিতে।

গ্রাহকরা যাতে বইটি ভালো মতো দেখতে পান সেজন্য সামনের দিক করে সাজানো হয়েছে বইগুলো। প্রতি্টি বইয়ের নীচে সেগুলো অ্যামাজন ডটকম-এ কতটি তারকা রেটিং পেয়েছে এবং কতজন এতে রিভিউ দিয়েছেন তা দেখানো হবে।

ইচ্ছাকৃতভাবেই বইয়ের দাম তাকে লিখে রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। অ্যামাজন প্রাইম সদস্যপদ রয়েছে কিনা তার ওপর নির্ভর করে বইয়ের দাম কম বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।

প্রাইম সদস্যদের জন্য বইয়ের মূল্য কিছুটা কম হবে। বছরে ৯৯ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয় অ্যামাজন প্রাইম সদস্যদের।

গ্রাহকের প্রাইম অ্যাপ দিয়ে বইয়ের কাভার পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হলে তাকে বইয়ের দাম দেখানো হয়। যারা প্রাইম সদস্য নন তাদেরকে বইয়ের পুরো মূল্যই পরিশোধ করতে হয়।

প্রাইম সদস্যদের জন্য কম মূল্য প্রদানের ক্ষেত্রে চেকআউটের সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মী প্রাইম অ্যাপ থেকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে নেন। গ্রাহকের প্রাইম অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বইয়ের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এক্ষেত্রে নগদ অর্থ প্রদানের কোনো সুযোগ রাখেনি অ্যামাজন।

এ ব্যাপারে ম্যানহাটনের বাসিন্দা জেনিফার র‍্যাক বলেন, “মনে হচ্ছে এটি মানুষকে প্রাইম অ্যাপ ব্যবহার এবং প্রাইম সদস্যপদের দিকে চালিয়ে নেওয়ার একটি বাহন।”

এটি দিয়ে গ্রাহকদেরকে অ্যামাজন প্রাইম সদস্য হওয়ার জন্য প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে অ্যামাজন বুকস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনিফার কাস্টকে প্রশ্ন করা হয়।

জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে দারুণ সব বই খুঁজে পেতে সহায়তা করা। এটা এতটাই সহজ। গ্রাহক যদি প্রাইমের ছাড় দেওয়া মূল্য পেতে চান সেটি অবশ্যই দারুণ।”

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের বইয়ের দোকানের সংখ্যা হল সাতটি। চলতি বছরই দেশটিতে আরও ছয়টি দোকান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এর মধ্যে ম্যানহাটনে আরেকটি দোকান খোলার কথা রয়েছে তাদের।

প্রথাগত বইয়ের দোকানগুলোর ব্যবসা দমিয়ে দিতে অনেক আগে থেকেই সমালোচনা চলে আসছে অ্যামাজন নিয়ে। এবার বাড়তি আরও কিছু দোকান দিয়ে বাড়তি সাফল্য প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।