গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, সন্ত্রাস, পর্নোগ্রাফি এবং নিজের জন্য ক্ষতিকারক এমন কনটেন্ট সরাতে ফেইসবুক পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করেন তার তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ব্যাপারগুলোতে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন নির্দেশিকা গার্ডিয়ান দেখেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে ফেইসবুক পর্যবেক্ষকদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ কনটেন্ট। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সাধারণত সময় পান ১০ সেকেন্ড।
রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সপ্তাহে ৬৫ লাখের বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করেন ফেইসবুক পর্যবেক্ষকরা।
প্রতিষ্ঠানের অনেক কনটেন্ট পর্যবেক্ষকই ফেইসবুক নীতিমালার অসামঞ্জস্য এবং অদ্ভূত ধরন নিয়ে সচেতন বলে উল্লেখ করা হয়। গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যৌন উত্তেজক কনটেন্টের মতো বিষয়গুলো বিভ্রান্তিকর।
প্রতিবেদন নিয়ে স্পষ্টভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ফেইসবুক। তবে, প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে অগ্রাধিকার পায়।
“ফেইসবুকে মানুষকে নিরাপদে রাখাটাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বাক স্বাধীনাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেইসবুককে যতটা সম্ভব নিরাপদ করতে হবে। এখানে অনেক বিস্তৃত চিন্তা ভাবনার দরকার আছে এবং এটি নিয়ে সচরাচর গুরুতর প্রশ্ন ওঠে। আর এগুলো কীভাবে ঠিক করা যায় তা আমরা খুব গুরুত্বের সংগে নেই।”-- বলেন ফেইসবুকের বৈশ্বিক নীতি ব্যবস্থাপনা প্রধান মনিকা বিক্রাট।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ করতে সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করেছে তারা। কিন্তু এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া নথিতে ফেইসবুকের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা, স্প্রেডশিট এবং ফ্লোচার্ট রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।